মিয়ানমারে শান্তি কামনা করলেন পোপ
পাঁচ দশকের সামরিক শাসন, সাম্প্রদায়িকতা ও জাতিগত দ্বন্দ্বে জর্জরিত মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশটির জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মিয়ানমার সফরের তৃতীয় দিনে বুধবার দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে জনতার উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশটিতে শান্তি কামনা করেন তিনি। তবে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের আশঙ্কা ও দেশটিতে থাকা সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন তিনি। পোপের বক্তব্য শুনতে দেশটির দূর দূরান্ত থেকে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ইয়াঙ্গুনে জড় হয়েছিলেন।
বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু দেশটি থেকে জাতিগত নিধনের হাত থেকে বাঁচতে গত তিন মাসে প্রায় ছয় লাখ ২৫ হাজার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এর আগে মঙ্গলবারও পোপ তার বক্তৃতায় রোহিঙ্গা সংকটের কথা তোলা থেকে বিরত থাকেন। পোপ সেদিন রোহিঙ্গাদের নাম না নিয়েই তিনি মিয়ানমারে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও দেশের সকল জনগণের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানান। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সাং সু চি ও দেশটির সেনাপ্রধানের সাথে তার বৈঠক হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ৩০টি চৌকিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্বিচারে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে গত তিন মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বলছে, রোহিঙ্গাদের শত শত গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও তারা জানিয়েছে।
Comments