রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল পর্বের কাজ উদ্বোধন
ঈশ্বরদীর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল পর্বের নির্মাণকাজ উদ্বোধন হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে বহু প্রতীক্ষিত পারমাণবিক বিদ্যুতের যুগে পদার্পণ করল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে পাবনা জেলা সদরের উত্তরে ঈশ্বরদীর রূপপুরে নিজ হাতে কংক্রিট ঢেলে নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
দেশে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সহায়ক হবে বলে আশা সরকারের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হলে ২০২৪ সাল থেকে রূপপুরের ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিউক্লিয়ার এজেন্সি রসাটমের আর্থিক কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে গত ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রুশ কোম্পানি অ্যাটমস্ট্রয়েক্সপোর্ট এর সাথে চুক্তি সই করে বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা রোসাটম রূপপুরের নির্মাণকাজে অ্যাটমস্ট্রয়েক্সপোর্টকে নিযুক্ত করেছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যয় চূড়ান্ত করে গত ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার সাথে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যার একটি বড় অংশই ঋণ হিসেবে দেবে রাশিয়া। চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ থেকে শুরু করে জ্বালানি সরবরাহ ও নিঃশেষিত জ্বালানি ব্যবস্থাপনার কাজে রাশিয়া কারিগরি সহায়তা দিবে।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Comments