মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকায় আসছে শনিবার

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হবে আগামীকাল শনিবার। সেদিন আসর নামাজের পর তাঁর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে। এরপর, বনানী গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
Annisul Huq
আনিসুল হক (১৯৫২-২০১৭)। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হবে আগামীকাল শনিবার। সেদিন আসর নামাজের পর তাঁর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে। এরপর, বনানী গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

প্রয়াত মেয়রের পারিবারিক সূত্রে বলা হয়, এর আগে আনিসুল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে লন্ডনের রিজেন্টস পার্কে অবস্থিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আজ (১ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর।

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আনিসুল হক গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হসপিটালে ৬৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় স্ত্রী রুবানা হক, দুই মেয়ে এবং এক ছেলে তাঁর পাশে ছিলেন।

চলতি বছরের ২৯ জুলাই তিনি ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর, তাঁকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হসপিটালে ভর্তি করার পর আইসিইউতে রাখা হয়। গত ১৩ আগস্ট চিকিৎসকরা তাঁর মস্তিষ্কের রক্তনালীতে প্রদাহজনিত সেরিব্রাল ভাসকুলাইটি শনাক্ত করেন। পরে অবস্থার উন্নতি হলে ৩১ অক্টোবর তাঁকে আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলেটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।

আনিসুল হকের শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হলেও হঠাৎ গত মঙ্গলবার তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। ফলে তাঁকে আবারো আইসিইউতে নিয়ে আসা হয়।

তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রমুখ শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

আনিসুল হক শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবেও অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। ২০১৫ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago