গেইল-ম্যাককালাম না পারলে দায়িত্ব নেন মিঠুন

বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে গেলে ধরেছেন হাল, খেলেছেন দায়িত্ব নিয়ে। শেষে তুলেছেন ঝড়।
রংপুরের মিডল অর্ডারে ভরসার নাম মিঠুন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিপিএলে দেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই মুহুর্তে সবার উপরে তার নাম। সব ম্যাচেই গড়পড়তা রান করেও আলোয় আসা হচ্ছিল না মোহাম্মদ মিঠুনের। রংপুরকে শেষ চারে তোলার ম্যাচে ব্যাট হাতে অগ্রনী তিনি। বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে গেলে ধরেছেন হাল, খেলেছেন দায়িত্ব নিয়ে। শেষে তুলেছেন ঝড়। 

টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই উপরের সারির ব্যাটসম্যানরা আউট হলেই মিডল অর্ডারে নামেন মিঠুন। গেইল-ম্যাককালাম দ্রুত আউট হলে গেলে চারে নেমেই তাকে রাখতে হয় ভূমিকা, 'যেদিন ক্রিস গেইল ও ম্যাককালাম খেলে, সেদিন আমার দায়িত্ব নেওয়ার কিছু নেই। ওরা না পারলে গুরুত্বপূর্ণ পজিশনের ব্যাটসম্যান হিসেবে অবশ্যই দায়িত্ব আমার ওপর এসে পড়ে। জিততে হলে কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হয়। আমি ভাগ্যবান, ওই জায়গাটা কিছুটা হলে রিকভারি করতে পারছি।’

খুলনার বোলারদের চাপে ৪৩ রানে দুই উইকেট হারিয়েছিল রংপুর। তিনি নামার খানিকক্ষণ পর ফিরে যান ক্রিস গেইল। দলকে টেনে তোলার সব ভার পড়ে তার উপর। উইকেটে থিতু হয়ে এক এক করে বাড়িয়েছেন রান। ৩১ বলে ৩১ রান করার পর শেষ ওভারে পিটিয়ে ৩৫ বলে করে ফেলেন ফিফটি। দলও পেয়ে যায় জেতার মতো স্কোর,  ‘আমাদের একটু পর পর উইকেট পড়ছিল। আমিও ওই সময় যদি মারতাম, ওখানেও উইকেট পড়ার চান্স ছিল। উইকেটটা ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি ছিল না। চেষ্টা করেছি মাশরাফি ভাইকে নিয়ে শেষ দুই ওভারে যেতে। শেষ দুই ওভারে যদি অলআউট খেলি, ১০ রান বেশি হলেও চান্স থাকে। ওখানে উইকেট পড়লে আমরা ১২০ রানও করতে পারতাম না।’ 

এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে ২৯৭ রান করেছেন মিঠুন। তার উপরে আছেন কেবল রবি বোপারা ও এভিন লুইস। ইনিংস বড় করতে ভেতর থেকেই পাচ্ছেন তাগিদ,  ‘আমি টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভালো শুরু করছিলাম। নিজের মধ্যে তাড়া ছিল ইনিংসটা লম্বা করতে হবে। আমি যদি ২৫-৩০ রান করেও আউট হই, ওটা গোনা হয় না। প্রত্যেক ম্যাচে চেষ্টা ছিল। আজ হয়েছে।’

টুর্নামেন্টে বেশিরভাগ ম্যাচই রংপুর জিতেছে শেষ ওভারে গিয়ে। এবার শেষ ওভারের আগেই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। অন্তত একটা ম্যাচে এমন জয় পেয়ে স্বস্তিতে সবাই,  ‘আসলে সহজ জয় নয়, আজকেও কঠিন ম্যাচই ছিল। আর্চার যদি ও রানআউটটা না হতো তাহলে হয়তো আজকেও শেষ ওভারে কঠিন ম্যাচই হতো। আমরা সবাই চাচ্ছিলাম কমপক্ষে একটা ম্যাচ একটু রিলাক্সে জিততে। হয়তোবা তুলনামুলকভাবে আজকেরটাই হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago