সেই পাইবাস আবারও?

বিসিবির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনে চলে যাওয়া পাইবাস ফের এসেছেন ঢাকায়।
Richard Pybus
রিচার্ড পাইবাস (ফাইল ছবি)

২০১২ সালে মাস চারেক দায়িত্ব পালনকালে রিচার্ড পাইবাসের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্ক ছিল তেতো। বিসিবির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনে চলে যাওয়া পাইবাস ফের এসেছেন ঢাকায়। চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের ছেড়ে দেওয়া পদের জন্য পরীক্ষায় বসবার প্রথম সুযোগ পাচ্ছেন তিনিই।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসার পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের পাশে বসে বিপিএলের ম্যাচ দেখেছেন পাইবাস। বুধবার বোর্ড পরিচালকদের সামনে নিজের কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরবেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ৫৩ বছর বয়সী এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ। 

২০১২ সালে স্টুয়ার্ট ল দায়িত্ব ছেড়ে দিলে কোচ হিসেবে নিয়োগ পান পাইবাস। তবে বেতন ও ছুটি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় কোন চুক্তিতে সই করেননি। বিসিবির সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার কথা আবার জানিয়েছিলেন চলে যাওয়ার পর। সেবার অক্টোবর মাসে মোস্তফা কামালের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের বিরুদ্ধে কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে কোচের পদে ইস্তফা দিয়ে চলে যান পাইবাস। খেলোয়াড়দের অনুশীলনে স্বাস্থসম্মত খাবার না দেওয়ারও অভিযোগ এনে তখন বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। 

বিতর্ক, তেতো অভিজ্ঞতার পরও কেন ফের তিনিই?  বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের ব্যাখ্যা, ‘তিনি আমাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন। কাল (বুধবার) প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করবেন। এরপর বিভিন্ন শর্ত নিয়ে আলাপ আলোচনার পর ঠিক করা হবে।’

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানের মতে, ‘যেহেতু এখন ভালো কোচ পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে, তাই সংক্ষিপ্ত তালিকায় যে কজন আছে তাদের সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। পাইবাস সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন। কিন্তু বোর্ডের সবাই মিলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে। ক্রিকেটের জন্যে যেটা ভালো হয় তাই করা হবে।’

বাংলাদেশ ছাড়া তিন দফায় পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে কোথাও অভিজ্ঞতা শেষ পর্যন্ত মধুর হয়নি তার। বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়ার পর ২০১৩ সালে গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেখানে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ দেশগুলোর সংস্কৃতি না বুঝে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ঠিক আগে জাভেদ মিঁয়াদাদ দায়িত্ব ছেড়ে দিলে পাকিস্তানের কোচ হন পাইবাস। সেই বিশ্বকাপে ফাইনালে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। ২০০১ সালে ফের কিছুদিন কোচিং করান পাকিস্তানকে। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন পাইবাস। ওই বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। বাংলাদেশের হেরে যাওয়া মুলতান টেস্টেও পাকিস্তানের কোচ ছিলেন তিনি।

চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে পদত্যাগ করায় পরবর্তী সিরিজের আগেই প্রধান কোচ নিয়োগ দিতে চাইছে বিসিবি। বিসিবির সংক্ষিপ্ত তালিকায় পাইবাস ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্স, অস্ট্রেলিয়ান জেফ মার্শের নাম শোনা যাচ্ছে। এদের যেকেউই পেতে পারেন দায়িত্ব। কে হবেন কোচ, সিদ্ধান্ত নেবেন বোর্ড পরিচালকরাই। 

জাতীয় দলের সহকারি কোচের দায়িত্ব পালন করা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মতে, মতামত নেওয়া উচিত ক্রিকেটারদেরও, ‘সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে যারা জাতীয় দলে খেলে। কাকে কোচ দরকার তারাই ভালো বলতে পারবে। তাদের মতামত নেওয়া খুব বেশি জরুরি। আরও সামনে এগিয়ে যেতে কেমন কোচ দরকার তারাই ভালো বলতে পারবে।’

এর আগে স্থায়ী বিদেশি কোচ পেতে সময় লাগলে দেশিয় কাউকে খণ্ড-কালীন কোচ করার কথা জানিয়েছিলেন বিসিবি প্রধান। সেক্ষেত্রে খালেদ মাহমুদের সম্ভাবনা বেশি বলেছিলেন তিনি। তবে খালেদ মাহমুদ নিজেও একজন বোর্ড পরিচালক হওয়ায় সেক্ষেত্রে আবার 'কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট' দেখা দিতে পারে। 

Comments

The Daily Star  | English

Harris puts Trump on defensive in fiery debate

A former prosecutor, Harris, 59, appeared to get under the former president's skin with a series of sharp attacks, prompting a visibly angry Trump to deliver a stream of falsehood-filled retorts.

2h ago