উইকেটের দোষ দেখছেন না মাহমুদ
মিরপুরের উইকেটের অসমান বাউন্স এখন ব্যাটসম্যানদের কাছে রীতিমতো আতংক। সমালোচনা করছেন দেশি-বিদেশি ক্রিকেটাররা। তবে উইকেটের কোন দোষ দেখছেন না ঢাকা ডায়নামাইটস কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
বুধবার দিনের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ রানেই পড়ে যায় ঢাকার পাঁচ উইকেট। পরে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী মারুফ মিলে গড়েন ৫৫ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত টিকে ৪৭ রান করে অধিনায়ক সাকিব দলকে পাইয়ে দেন ১৩৭ রানের পূঁজি। ওই রান তাড়ায় পুরো ২০ ওভার খেলে ৯৪ করতে পারে রংপুর।
খালেদ মাহমুদ মনে করেন অমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের দায় ব্যাটসম্যানদেরই, ‘কাল (বুধবার) আমাদের শুরুটা ভাল হয়নি কিন্তু সাকিব যেভাবে ব্যাট করেছে উইকেটকে আমি দোষ দেব না। আমরা ভাল ব্যাট করতে পারেনি। বাজে শট খেলেছি। হ্যা সুনিল নারিনের আউটে অকওয়ার্ড বাউন্স ছিল হয়তবা, লুইস হিট উইকেট হল। ওদের বেলাতেও একটা বল লো করল। এরকম দুএকটা সব সময় হয়। কিন্তু উইকেটে এমন জুজু ছিল না। উইকেট খুব খারাপ আমি বলব না।’
Dhaka Dynamites practice before Play off match
Dhaka Dynamites, BPL
কোচ উইকেটের দোষ না দেখলেও ওইদিন ম্যাচ শেষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করা মেহেদী মারুফ জানিয়েছিলেন তার অসন্তুষ্টি, ‘না আমার কাছে ততটা ভালো লাগেনি। সিলেট আর চট্টগ্রামে ভাল উইকেট ছিল। জানিনা এখানে কেন এমন উইকেট হচ্ছে।’
ওই ম্যাচ শেষে উইকেট নিয়ে চরম অসন্তোষ জানিয়েছিলেন ব্র্যান্ডন ম্যাককালামও। তার ভাষায় মিরপুরের ২২ গজ ‘বাজে’। এই বাজে উইকেটে রান করা খুবই কঠিন। এমন উইকেটে খেলা হলে দর্শকরাও বঞ্চিত হবে বিনোদন থেকে।
উইকেট নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় গত শনিবার রংপুর রাইডার্স-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচে।আগে ব্যাট করে মাত্র ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় মাশরাফিরা। ওই রান কুমিল্লা পেরিয়েছে হামাগুড়ি দিয়ে। জিততে খেলতে হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। ম্যাচ শেষে দুই অধিনায়ক মাশরাফি ও তামিম উইকেট নিয়ে প্রকাশ্যে নিজেদের হতাশা জানান। তামিমের সমালোচনার ধরন পছন্দ না হওয়ায় তাকে শোকজও করা হয়।
সেদিন রাতের ম্যাচে ২০৫ রান করেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। তাদের পক্ষে ৬৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা সুনিল নারিনের ৪টি ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন রাজশাহী কিংসের ফিল্ডাররা। ওই ম্যাচের কথা মনে করিয়েও উইকেটের পক্ষে ব্যাট ধরলেন মাহমুদ, ‘যেদিন উইকেট খারাপ হলো সেদিনও ঢাকা দুশোর উপর রান করল। আমি কীভাবে বলি উইকেট খারাপ। ঢাকা তো দুইশ রান করেছে সত্যি কথা বলতে গেলে।’
মিরপুরে দিনের ম্যাচের তুলনায় রাতের ম্যাচগুলোতে বেশি রান হতে দেখা গেছে। অসমান বাউন্স থাকলেও শিশিরের কারণে বল ব্যাটে আসছিল ভাল। স্পিনারদের গ্রিপ করতে অসুবিধা হওয়ায় ব্যাটসম্যানরা পাচ্ছিলেন বাড়তি সুবিধা।
Comments