এক সেঞ্চুরিতে যা যা রেকর্ড গেইলের
ক্রিস গেইলকে বলা হয় বিনোদনের ফেরিওয়ালা। বিপিএল খেলতে ঢাকায় নেমেই বলেছিলেন এসেছেন বিনোদন দিতে। এরআগে দুই ফিফটি পেয়েছিলেন। তাতে মন ভরেনি দর্শকদের, বিনোদন দিতে না পেরে নিশ্চিতভাবে খচখচানি ছিল তারও। সব খেদ এবার মিটিয়ে দিয়েছেন এক ইনিংসে। শুক্রবার ছুটির দিনে গ্যালারিভর্তি দর্শকদের খুলে দিয়েছিলেন বিনোদনের ঝাঁপি। তাতে অনুমিত ভাবে হয়ে গেছে কিছু রেকর্ডও।
আগে ব্যাট করে ১৬৭ রান করে বেশ তেঁড়েফুঁড়ে ছিল খুলনা টাইটান্স। বেদম পিটিয়ে খানিকপর তাদের চুপসে দেন তিনি। ৫১ বলে ১২৬ রানের ওই ইনিংসে ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকে। তাতে বিপিএলের রেকর্ডে আরও উঁচুতে উঠেছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব।
এর আগে বিপিএলে আরও তিন সেঞ্চুরি ছিল গেইলের। চার নম্বর সেঞ্চুরি করে নিজের রেকর্ডকে তুলেছেন আরেকটু উপরে। তারমধ্যে এটিই বিপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইনিংস। আগের বছর রাজশাহী কিংসের হয়ে ১২২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাব্বির রহমান। এবার তাকে দুইয়ে ঠেলে শীর্ষে উঠলেন গেইল। বিপিএলের পাঁচ আসর মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১০টি সেঞ্চুরি এসেছে, যার চারটিই গেইলের ব্যাট থেকে। এবারের আসরে এ পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরিও এটিই।
বিপিএলে পাঁচ আসর মিলিয়ে মাত্র ২৪ ম্যাচ খেলেই সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও গেইল। ওই রেকর্ড আগেও তারই ছিল। এবার ১৪ ছক্কায় ৭৫ থেকে বাড়িয়ে তা নিয়ে গেছেন ৮৯টিতে। তারচেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ম্যাচ খেলা সাব্বির রহমান পিছিয়ে আছেন মাইলখানেক দূরে। ৬২ ম্যাচে সাব্বির মেরেছেন ৪৭টি ছক্কা।
খেলার ধরনের এক রান নেওয়ার চেয়ে গেইল ছক্কা মারতেই বেশি পছন্দ করেন। এবার যেমন চারের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ছক্কা মেরেছেন তিনি। পুরো ইনিংসে চার ছিল ৬টি, ছক্কা ১৪টি। তাতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডও হয়ে গেছে। আগের সেঞ্চুরিগুলোতে ১২, ১১, ১০টি করে ছক্কা মেরেছিলেন। এবার মারলেন আরও দুইটি বেশি। এখানেও ছাপিয়ে গেলেন নিজেকেই। রংপুর রাইডার্স দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠায় গেইলকে দর্শকরা নিশ্চিতভাবে পাবেন আরও এক ম্যাচ। ফাইনালে উঠলে দুটি। তেতে থাকা গেইল গড়ে ফেলতে পারেন আরও বড় কিছু।
Comments