‘হাথুরুসিংহে ভেবেছেন এভাবে চললে বাংলাদেশ আর এগোবে না’

শনিবার বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকতা সারতে আসা সাবেক কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসেননি। বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতা সারার পর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের সঙ্গে। কি আলাপ হলো বিদায়ী কোচের সঙ্গে সংবাদমাধ্যকে তা জানিয়েছেন বোর্ড প্রধান।
শনিবার দুপুরে তিন অধিনায়ক ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একবার সংবাদ মাধ্যমে এসেছিলেন নাজমুল। তখন তার সঙ্গে দেখা হয়নি হাথুরুসিংহের। সন্ধ্যায় সদ্য সাবেক হওয়া কোচের সঙ্গে আলাপ করেছেন দীর্ঘসময়। বিসিবি প্রধানের কাছে পদত্যাগ করার অনেক কারণ ব্যাখ্যা করেছেন হাথুরুসিংহে। তারমধ্যে আছে, ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়ে সমস্যা, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট থেকে সাকিব আল হাসানের বিশ্রাম চাওয়া। ইঙ্গিত আছে সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রতিই অসন্তোষের।
বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ক্রিকেটারদের আচরণে হতাশ ছিলেন কোচ। তখনই নাকি তার মনে হয়েছে বাংলাদেশকে দেওয়ার আর কিছু নেই।
‘দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে প্রথম থেকেই তার অসন্তুষ্টি অবশ্যই ছিল। ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়েও তার সমস্যা ছিল। উদাহরণস্বরূপ, এই যে সাকিব খেলবে না, সাকিব যে যাবে না, এটা সে মেনে নিতে পারেনি। সে একটু আলাদা, আমাদের মত নয়। তার কথা হলো, “কেন খেলবে না! এত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশের জন্য কেন খেলবে না!”
ওই সফরেও এমন কিহু হয়েছিল যাতে কোচ মনে করেছেন তার চলে যাওয়া উচিত, ‘আরও কিছু ঘটনা ঘটেছিল। সব মিলিয়ে তার মনে হয়েছে, এই দলকে আমার আর কিছু দেওয়ার নেই। যা দেওয়ার ছিল, দিয়ে ফেলেছি। আমার এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত।’
হাথুরুসিংহে তখনই ভেবেছিলেন যেভাবে চলছে এভাবে চললে দেশের ক্রিকেট এগোবে না, ‘সে ভেবেছে, আমার আর এখানে থাকার দরকার নেই। সে মনে করেছে, যেভাবে চলছে, এভাবে চললে বাংলাদেশ আর সামনে এগোবে না।’
সাবেক কোচের সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় এই আলাপে বিসিবি প্রধান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, বোর্ড পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, বোর্ড পরিচালক ও জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।
Comments