‘আকাইদ উল্লাহর জন্ম, বেড়ে ওঠা ঢাকায়’

নিউইয়র্কে বোমা হামলার ঘটনায় আটক আকাইদ উল্লাহর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তিনি ২০১১ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।

নিউইয়র্কে বোমা হামলার ঘটনায় আটক আকাইদ উল্লাহর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তিনি ২০১১ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গ্রামবাসী বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, “আকাইদ উল্লাহর বাবা সানাউল্লাহ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ছেড়ে ঢাকায় চলে যান। তিনি সেখানেই বিয়ে করেন এবং তাদের সন্তান আকাইদ উল্লাহর জন্ম হয় ঢাকায়।”

তিনি আরো জানান, সন্দ্বীপের মুসাপুর ইউনিয়নের সানাউল্লাহ নিউইয়র্কে মারা গেছেন বছর দুয়েক আগে। তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মুসাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল খায়ের নাদিম বার্তা সংস্থাটিকে জানান, তিনি সানাউল্লাহর গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন তাঁর পরিবার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্যে।

২৭ বছর বয়সী আকাইদ উল্লাহর একজন আত্মীয় এমদাদ জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০১১ সালের পর আকাইদের পরিবার দুবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। সে সময় তারা একবার সন্দ্বীপে গিয়েছিলেন। তিনি আরো জানান যে, ঢাকার হাজারীবাগে আকাইদের বাবা সানাউল্লাহর একটি মুদি দোকান ছিলো।

সন্দ্বীপ পুলিশ তাকে দেখা করতে বলেছে বলেও উল্লেখ করেন বোরহান উদ্দীন ভুটানের ছেলে এমদাদ। তিনি একসময় কুয়েতে থাকলেও এখন সন্দ্বীপে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

নিউইয়র্ক প্রবাসী সন্দ্বীপের সোহেল মাহমুদ জানান, আকাইদ উল্লাহর ডাকনাম ‘শাপু’। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সন্দ্বীপবাসীর কাছে তিনি খুব একটা পরিচিত ছিলো না।

সোহেল বলেন, শাপু ২০ বছর বয়স পর্যন্ত বাংলাদেশেই ছিলেন। তারা চার ভাই-বোন। বড় ভাই অপুর সহযোগিতায় ২০১১ সালে শাপু তার মা-বাবা ও দুই বোনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।

সন্দ্বীপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী ইফতেখারুল আলম তারেক ইউএনবিকে বলেন, “এই ঘটনায় আমরা খুবই বিব্রত। এটি আমাদের সন্দ্বীপবাসীর জন্যে খুবই লজ্জার।”

উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ার এবং পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালের মধ্যবর্তীস্থানে স্থানীয় সময় গতকাল (১১ ডিসেম্বর) সকালে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে আকায়িদ উল্লাহসহ চার ব্যক্তি আহত হন। আহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। নিউইয়র্ক শহরের মেয়র বিল ব্লাসিও এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে মন্তব্য করেছেন।

এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন মুখপাত্র এক ইমেল বার্তায় বলেন, “একজন সন্ত্রাসী সে যে জাতিগোষ্ঠী বা ধর্মেরই হোক না কেন সে একজন সন্ত্রাসী এবং তাকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।”

এদিকে, বোমা হামলার ঘটনায় আটক আকাইদের বাংলাদেশে কোন অপরাধমূলক রেকর্ড নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশে নিউইয়র্ক হামলার সন্দেহভাজন ব্যক্তির কোন অপরাধমূলক রেকর্ড নেই: আইজিপি

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago