ভক্ত-দর্শকদের হতাশ করলেন ম্যারাডোনা

ছবিঃ স্টার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসা  দিয়াগো ম্যারাডোনা তার ভক্ত-দর্শকরা হতাশ করেছেন। অধীর আগ্রহে তারা প্রতীক্ষা করলেও মাঠে নেমে খেলেননি এই ফুটবল কিংবদন্তী।

কলকাতার অদূরে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা শহর বারাসতে বেসরকারি অদিত্য একাডেমি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় প্রদর্শনী ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের একঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় ওই ম্যাচ। 

মাইকে ঘোষণার পরপর মাঠে নেমেছিলেন বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা ম্যারাডোনা। কিন্তু কিছু সময় মাঠে রেফারি ও প্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে এই ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ক্যাপ্টেন হিসাবে মাঠে নির্ধারিত চল্লিশ মিনিটই খেলেন ভারতের ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসুসহ আরো অনেকে।

ম্যারাডোনাকে মাঠে ফুটবল নিয়ে দৌড়াতে দেখবেন বলে হাজার হাজার দর্শক-ভক্ত ওই স্টেডিয়ামের দর্শক গ্যালারিতে অপেক্ষা করেছিলেন। তাদের মধ্যেই একজন  সৌমেন রায় চৌধুরী জানান, খুব হতাশ হলাম। সকাল ৯ টা থেকেই স্টেডিয়ামে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু ফুটবলের যাদুকরকে মাঠে ফুটবল নিয়ে খেলতে দেখার সৌভাগ্য হলো না। সৌমেন রায়ের মতো একইভাবে হতাশার কথা জানালেন, বর্ধমান থেকে খেলা দেখতে যাওয়া কৌশিকী বালা ও তার স্বামী হৃদয় বালা। 

তবে প্রদর্শনী ম্যাটের আয়োজকরা জানান, ভারতের আসার আগে কাঁধে অস্ত্রোপচার হয়েছিল ম্যারাডোনার। সে কারণে চল্লিশ মিনিটের ম্যাচে মাত্র দশ মিনিট খেলার কথা আগেই জানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো লিজেন্ড। বিপত্তি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায়। সেদিন কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে ম্যারাডোনাকে দেখতে উৎসুক ভক্তদের ভিড়ের মধ্যে এক যুবক আচমকা তার কাঁধে এসে পড়েন। কাঁধের অস্ত্রপচারের জায়গায় ব্যথা পাওয়ায় দ্রুত হোটেলের ফিরে যান।  

আয়োজকদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, কাঁধে চোট পাওয়ায় কারণে কলকাতা সফর গুটিয়ে দুবাই চলে যাওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু আয়োজকদের বিশেষ অনুরোধে শেষ পর্যন্ত কলকাতায় থেকে যান। কিন্তু মঙ্গলবারের প্রদর্শনী ম্যাচে না খেলার কথা জানিয়ে দিন। আয়োজকরা জানলেও সেটা আগেই প্রকাশ করেননি। মাঠে শান্তি শৃঙ্খলার জন্যই এমন গোপনীয়তা বলেও ওই সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Macroeconomic challenges to persist in Jul-Dec: BB

BB highlights inflation, NPLs, and tariff shocks as key concerns

3h ago