গেইলের ক্যাচ ফেলে দেওয়াতেই বেশি আক্ষেপ সাকিবের
‘ক্যাচ ফেলে দিলেন, তো ম্যাচ ফেলে দিলেন’, ক্রিকেটে প্রচলিত এই কথা যেন বিপিএলের ফাইনালে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। যে গেইল ২২ রানেই আউট হতে পারতেন। তিনি পরে করলেন ১৪৬ রান। পরে রংপুরের সঙ্গে পাত্তাই পেল না ঢাকা।
ম্যাচের ৬ষ্ঠ ওভার। গেইল তখনও অনেকটা ধীরস্থির। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে প্রথম ছক্কা মারার পরের বলেই এক্সট্রা কাভারে দিয়ে দেন ক্যাচ। ওখানে দাঁড়ানো সাকিব ফিল্ডার হিসেবে দলের সেরাদের একজন। কিন্তু রাখতে পারলেন না তিনি। পরের বলেই ছক্কা দিয়ে নতুন জীবন উদযাপন করেছেন গেইল। ম্যাচ শেষে ওই ক্যাচকেই টার্নিং পয়েন্ট মানছেন ঢাকা অধিনায়ক, ‘আমার ওই ক্যাচ ফেলে দেওয়াটাই বড় কারণ।’ তবে কেবল ক্যাচ নয় গেইলকে ধন্দে ফেলার মতো বলও নাকি করতে পারেননি তারা, ‘বোলিংটা ওইভাবে ভালো করতে পারিনি। গেইলের ক্ষেত্রে মনে হয় আমরা ভালো জায়গায় এনাফ বল করতে পারিনি। হয়তো বা আরও এক দুইটা সুযোগটা পেলে কিছু করতে পারতাম। কিন্ত সুযোগটা আর আসে নাই।’
প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। পেয়েছিলেন একটি মেডেনও। তবু চার ওভারের কোটা পূরণ না করার ব্যাখ্যা দিলেন তিনি, ‘গেইল আউট হলে অবশ্যই করতে পারতাম। গেইল যতক্ষণ ছিল ওই সময় আমার বল করা ডিফিকাল্ট। যেহেতু লেফট আর্ম স্পিনার আমি, ওর অন্য খুব ইজি। সেজন্য শেষ ওভার পরতে অপেক্ষা করতে হয়েছে, যেটা আমার করতেই হতো।’
একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন গেইল। সারাক্ষণই কপালে চিন্তার ভাঁজ ছিল সাকিবদের, ‘ও যদি ব্যাট করতে থাকে যে কোনো দলের জন্য হ্যাম্পার হয়। ও শুরুতে আউট হয়ে গেলে তো টেনশন ছিল না। ও যেহেতু ২০ ওভার বল করেছে পুরো ২০ ওভারই টেনশন ছিল।’
তবে অধিনায়ক হিসেবে সব মিলিয়ে পুরো টুর্নামেন্টে সন্তুষ্ট সাকিব, ‘সব মিলিয়ে ভালো একটা টুর্নামেন্ট ছিল। প্রথম টার্গেট ছিল ফাইনালে আসা, যেটা পেরেছি, এ বছর আমাদের বেশ কিছু আপস অ্যান্ড ডাউন্স ছিল। ভালো একটা সিজন গেল।’
Comments