আরও মার্জিত শব্দ ব্যবহার করা উচিত ছিল: তামিম
বিপিএলের উইকেটের সমালোচনায় তামিম ইকবাল বলেছিলেন, এটা ‘জঘন্য’, এমন সমালোচনায় মেনে নিতে পারেনি বিসিবি। শোকজ পাঠিয়ে শুনানিতে ডাকা হয়েছিল টাইগার ওপেনারকে। শুনানিতে তামিমের উপলব্ধি, আরেকটু মার্জিত শব্দ ব্যবহার করা উচিত ছিল তার।
গত ২ ডিসেম্বর রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচে আচমকা বাউন্সের জন্য আলোচনায় ছিল মিরপুরের ২২ গজ। উইকেটের সমালোচনা করেছিলেন দুই দলের অধিনায়কই। তবে তামিমের সমালোচনা ছিল কড়া। এর রেশ ধরে তাকে ডাকা হয় শুনানিতে,
‘আপনারা জানেন উইকেট ও আউটফিল্ড নিয়ে সমালোচনা করায় আমাকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। উনাদের উদ্বেগ উনারা জানিয়েছেন। আমিও মেনে নিয়েছি যে, আমার হতয়বা আরেকটু ভাল শব্দ ব্যবহার করা উচিত ছিল। ভবিষৎ এ আমি আরেকটু সতর্ক থাকব। তারাও এটা ভালোভাবে নিয়েছেন।’
সেদিন এমন জঘন্য উইকেটে ক্রিকেট খেলা হয় বলে হতাশা জানিয়েছিলেন তামিম। তামিমের হতাশা ছিল আউটফিল্ড নিয়েও। আউটফিল্ডের সমালোচনায় ভালোভাবে নেয়নি বিসিবি। তবে সমালোচনাকে নয় তামিমের সমালোচনার ধরনেই নাকি মূল আপত্তি বিসিবির, ‘উইকেট ভাল না হলে বলতে পারব না যে তা না। অবশ্যই বলতে পারব। তবু আরেকটি সুন্দরভাবে।’
‘বাংলাদেশের হয়ে আমি খেলি। বিসিবি আমার অভিবাবক। উইকেট, গ্রাউন্ডস সবই আমাদের সম্পত্তি। আমার কাছে মনে হয় আরও ভাল শব্দ ব্যবহার করতে পারতাম।’
শুনানির পর বিসিবির সিদ্ধান্ত প্রকাশ করতে চাইলেন না বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম।
‘এটা সবাইকে বলা যাবে না। তামিমকে চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে এটুকু বলতে পারি সে তার ভাষা প্রয়োগের জন্য দুঃখিত।’
বিপিএলে মিরপুরের আচমকা বাউন্সের উইকেট নিয়ে কেবল দেশি ক্রিকেটাররা নয়। সমালোচনা করেন বিদেশিরা। ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের ভাষায় মিরপুরের বাইশ গজ ছিল ‘বাজে’। তবে এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার ম্যাচে উইকেটের আচরণ খানিকটা উন্নতি হয়। যার প্রভাব পড়েছে ম্যাচেও।
Comments