নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন রোকেয়া প্রাচী!

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজের পরিচয় দিলেন প্রথিতযশা মঞ্চ অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি জানালেন, ফেনী-৩ আসনের সোনাগাজী এলাকার প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। দল তাকে মনোনয়ন দেবে সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
মঞ্চ অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী
কলকাতায় বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে রোকেয়া প্রাচী। ছবি: স্টার

চারদিকের নির্বাচনী হাওয়া প্রকাশ্যে বইতে শুরু করেনি এখনো। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীরা অঘোষিতভাবেই নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে সংসদীয় এলাকায় জনসংযোগ কিংবা গণমাধ্যমের নজরতে আসতে নানা কর্মসূচিতে নিজেদের সক্রিয়তা বাড়িয়ে নজর কাড়ার চেষ্টা শুরু করেছেন।

এমনই একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলেন প্রথিতযশা মঞ্চ অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি জানালেন, ফেনী-৩ আসনের সোনাগাজী এলাকার প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। দল তাকে মনোনয়ন দেবে সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।

তবে দল না দিলেও দলীয় প্রতীকের জন্য কাজ করবেন তিনি। বললেন, এই কাজটি শুধুই রোকেয়া প্রাচী নিজে নৌকা প্রতীকে সংসদে যাওয়ার জন্য নয়। কাজটি করছেন তার প্রতীককে বিজয়ী করার জন্য। তিনি ছাড়া দল যদি অন্য কাউকে যোগ্য বলে মনে করে মনোনয়ন দেয়, তবে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়ে সংসদে যেতে পারবেন।

আসলে দল এবং দলীয় প্রতীকের বিজয়ের জন্য একজন নিঃস্বার্থ রাজনৈতিক কর্মী কাজ করেন; নিজেকে সেরকমই একজন দাবি করলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক। 

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কলকাতার বাংলাদেশ বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টার-এর সঙ্গে। সেখানে রোকেয়া প্রাচী এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রাচী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সড়ক পরিবহন সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করছেন। শিল্পী হিসেবেও তো বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজপথে আছেন। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তার একটা রাজনৈতিক পরিচয় আছে।

প্রাচীর নিজের গ্রামের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী এলাকায়। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তার এলাকা থেকে নির্বাচন কতে চান তিনি। তিনি বললেন, নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন সেটা তিনি আত্মবিশ্বাসী।

তবে তিনি গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারায় বিশ্বাসী নন। প্রতিহিংসার পরিবর্তনে সহনশীল রাজনীতির পথের পথিক বলেও দাবি করেন। বলেন, “রাজনৈতিক কর্মীর সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। আমি যা চাইবো তাই হবে এমন কোনো কথা নয়। আমি মনে করি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, আমাদের গঠনতন্ত্র আছে সব কিছু মিলিয়ে যদি দল মনে করে আমি যোগ্যপ্রার্থী, তাহলেই আমি আমার এলাকার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। এই মানসিকতা থেকেই আমি আমার এলাকায় কাজ শুরু করেছি।”

তার ভাষায়, “রোকেয়া প্রাচী নির্বাচন করবেন, সে নৌকা প্রতীক নিয়ে নিজেই সংসদ সদস্য হবেন ব্যাপারটা কিন্তু সেই রকম নয়। আসলে আমি যে কাজটা করছি সেই কাজের মধ্যদিয়ে নৌকাকে আমার যতটুকু সাধ্য-সামর্থ্য নৌকার জন্য আমার মাটিটাকে প্রস্তুত করছি। আমার দল সিদ্ধান্ত নিলে সেখানে অন্য কেউ নির্বাচন করবে- আমি যে এখন প্রস্তুতিমূলক কাজ গুলো করছি যে মাটিকে প্রস্তুত করছি সেখানে কিন্তু নৌকা জয় হয়ে আসছে। একজন রাজনৈতিক কর্মীর কাজ হচ্ছে তার প্রতীককে জয় করিয়ে আনা। সেই প্রতীকের জয়ের জন্য আমি এখন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। এই নির্বাচনী প্রচারণায় যদি দল মনে করে তবে আমি যোগ্যপ্রার্থী তবে আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো।”

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago