ত্রিশের গেরো থেকে বেরুনোর পথ খুঁজছেন সৌম্য
২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টিতে দেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান সৌম্য সরকারের। টেস্টে আছেন চার নম্বরে, ওয়ানডেতে ছয়ে। তবু সৌম্যের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিপিএলে একদম রান পাননি, সেট হয়েই আউট হচ্ছেন ত্রিশের ঘরে। অনুশীলনে তাই বাড়তি সময় দিচ্ছেন। সন্ধান করছেন ফর্মহীনতা থেকে বেরুনোর পথ।
মঙ্গলবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে বাড়তি অনুশীলন করেছেন। নেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে দীর্ঘসময় নিয়ে ব্যাট করেছেন। ঝালিয়ে নিয়েছেন নিজের ট্রেডমার্ক সব বড় শট।
অভিষেকের পর খেলার ধরনের কারণে সৌম্য নজরকাড়েন মানুষের। দাপুটে ব্যাট করায় তার উপর প্রত্যাশাও চড়া হতে থাকে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না। মানুষকে আনন্দ দিতে না পারার অতৃপ্তি নিজেই টের পাচ্ছেন, ‘একেকজনের চাওয়া একেকরকম হয়। আমার যে চাওয়া ছিল সেটা আমি পূরণ করতে পারিনি। হয়তবা মানুষের যে চাওয়া ছিল সেটাও সবাই পুরোপুরি পায়নি। নিজের লক্ষ্যটা যদি নিজে পূরণ করতে না পারি তাহলে তো বলা যায় না যে বছরটা ভাল গেছে। চেষ্টা করব আগামীতে নিজের লক্ষ্যটা পূরণ করতে। এবং মানুষের চাওয়া পূরণ করতে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে চোটে পড়ে এক টেস্ট মিস করেছিলেন। দুই ওয়ানডেতে একাদশে জায়গা পাননি। আরেকটিতে পেয়ে করতে পারেননি কিছুই। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটিতেই অবশ্য ৪০ এর উপর রান পেয়েছিলেন। বিপিএলেও তাকে একাধিকবার দেখে গেছে ত্রিশের ঘরে আউট হতে। সব ফরম্যাটেই তার সমস্যা নাকি ওই ত্রিশের গেরো, ‘সমস্যাটা হচ্ছে ৩০-৪০ রানে। আমি যদি দিনশেষে ৩০-৪০ গুলা ৫০ করে আউট হতাম তাহলে সবাই বলত সৌম্য ফর্মে আছে।’
ভালো শুরুর পরও হুটহাট আউট হয়ে যাওয়ার সমাধান খুঁজতে নিজের পরিকল্পনা বদলাচ্ছেন। নজর দিচ্ছেন ফিটনেসের দিকেও, 'এতদিন তো ব্যাটিং করলাম। ফিটনেসের দিকেও নজর দিচ্ছি, যে ফিটনেসেও কোন ঘাটতি আছে কিনা। নিজের প্ল্যান নিজেই চেঞ্জ করে দেখছি যে কোন দিক থেকে বেরুতে পারি।'
গুঞ্জন আছে সাবেক কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রিয় ছিলেন সৌম্য। হাথুরুসিংহে নেই। এবার কি মূল দলে জায়গা নড়বড়ে হয়ে যাবে? সৌম্য অবশ্য মনে করেন পারফরম্যান্স দিয়েই কোচের পছন্দের পাত্র হয়েছিলেন, পারফরম্যান্স দিয়েই দলে থাকবেন, ‘অনেক মানুষেরই কথা থাকতে পারে। কারণ একটা ক্লাসে স্যার সবাইরে পছন্দ করে না। যারে পছন্দ করে না সে পেছনে গিয়ে লাগতেই পারে। আমি যদি ভাল না খেলতাম আমি দলেও আসতাম না, আমাকে পছন্দও করত না। আমি যদি স্কুলেই ভর্তি না হই সে আমাকে কীভাবে পছন্দ করবে। স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য তো আমাকে পরীক্ষা দিতেই হবে। পরীক্ষা তো যখন ভাল করেছিলাম তখন কোচ পছন্দ করছে।’
হাথুরুসিংহে এবার শ্রীলঙ্কার কোচ। সৌম্যদের শক্তি, দুর্বলতা সব জানেন তিনি। তবু এতে শ্রীলঙ্কা কোন বাড়তি সুবিধা পাবে না বলে সৌম্যের মত, ‘সে তো আর খেলবে না, খেলবে প্লেয়াররা। আমরা ডমিনেট করতে পারলে ফল আমাদের দিকেই আসবে। ‘আমরাও তার সম্পর্কে জানি। সেও জানে। সে কি প্ল্যান করতে পারে আমরা জানি।’
Comments