পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে বঙ্গোপসাগরের নতুন দ্বীপ
সাগরকন্যা কুয়াকাটা থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোলে জেগে উঠেছে নতুন একটি দ্বীপ। দুই হাজার একর এলাকাজুড়ে দ্বীপটিতে এখন সামুদ্রিক লাল কাঁকড়া আর গাংচিলের রাজত্ব। ইতিমধ্যেই পর্যটকদেরকেও আকৃষ্ট করা শুরু করেছে নয়নাভিরাম এই দ্বীপটি।
গত বুধবার কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লার সাথে প্রায় ২৮০ জন স্থানীয় লোক চারটি ট্রলার নিয়ে এই দ্বীপ ভ্রমণে যান। সেখানে গিয়ে তারা প্রায় ৫০০টি সুন্দরী ও গোলপাতার চারা রোপণ করে এসেছেন। দ্বীপটির নাম দিয়েছেন “চর বিজয়”।
মেয়র জানান, দ্বীপটির উন্নয়ন করে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা গেলে দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে এর।
চর বিজয় ভ্রমণকারীদের দলটির সাথে ছিলেন মহিপুর ফরেস্ট অফিসের রেঞ্জার মো. হারুন-উর-রশিদ। তিনি জানান, দুই-তিন বছর আগে দ্বীপটি ভেসে ওঠে। দ্বীপের মাটির ধরণ তারা পর্যবেক্ষণ করছেন।
তিনি আরও জানান, দুই হাজার একরের এই দ্বীপটি দৈর্ঘ্যে প্রায় চার কিলোমিটার ও প্রস্থে দুই কিলোমিটার। হাজার হাজার লাল কাঁকড়া দ্বীপটিকে আরও নয়নাভিরাম করে তুলেছে।
দ্বীপটিতে মানুষের স্থায়ী কোনো বসতি না থাকলেও কুয়াকাটার স্থানীয় কিছু জেলে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি মাস এখানে অবস্থান করেন। সাগরে মাছ ধরে সেখানেই তারা শুঁটকি তৈরির কাজ করছেন। তবে শুধু জেলারাই নয়, কুয়াকাটায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদেরও কেউ কেউ স্পিড বোট নিয়ে দ্বীপটিতে যাওয়া শুরু করেছেন। তবে পর্যটকদের এই সংখ্যাটি এখনও খুব অল্প।
ঢাকার বনশ্রীর বাসিন্দা সীমা আক্তার সম্প্রতি চর বিজয় ভ্রমণে গিয়েছিলেন। দ্বীপের সৌন্দর্যে তিনি অভিভূত। একই অভিমত কুয়াকাটা টুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. জনি আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নিয়ে দ্বীপটিকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা উচিত। কুয়াকাটার বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমানের মতে, দ্বীপটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করুক।
Comments