সাদা পোশাকে ব্যাট হাতে বছরের শীর্ষে মুশফিক

কিপিং গ্লাভস হাতে ছিলেন নড়বড়ে, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বিতর্ক আর দল সামলাতে না পারায় হারিয়েছেন নেতৃত্ব। বছরটা হয়ত মুশফিকুর রহিম ভুলতেই চাইতেন। তবে তার যে ভূমিকা নিয়ে কারো মনেই প্রশ্ন নেই। সেই ব্যাটিং দিয়েই বছরজুড়ে সাদা পোশাকে মাত করেছেন সদ্য সাবেক হওয়া টেস্ট অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা। রান পেয়েছেন সব মাঠেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় সফরে টেস্ট না খেলেও তারপরেই আছেন সাকিব আল হাসান।



মুশফিকুর রহিম 

২০১৭ সালে বাংলাদেশ খেলেছে মোট ৯ টেস্ট। তার ৮টিতে খেলেছেন মুশফিক। ৫৪.৭১ গড়ে ৭৬৬ রান করেছেন মিডল অর্ডারে টাইগারদের মূল ভরসা। দুই সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেছেন তিন ফিফটি। ওয়েলিংটনে ১৫৯ আর হায়দরাবাদে ১২৭ রানের ইনিংসে তার দৃঢ়তা প্রশংসা কুড়িয়েছে বিদেশীদেরও।

সাকিব আল হাসান

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেললে মুশফিককে ছাড়িয়ে চলতি বছর হয়ত সাকিবই থাকতেন টাইগার ব্যাটসম্যানদের শীর্ষে। বছরের শুরুতেই দেশের হয় সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলা সাকিব ৭ টেস্টেই করেছেন ৬৬৫ রান। ওয়েলিংটনে খেলা ২১৭ রানের ইনিংসে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড গড়েন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোয় দেশের শততম  টেস্টেও করেন সেঞ্চুরি। জেতান দলকে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে অবদান আছে শীর্ষ অলরাউন্ডারের।

তামিম ইকবাল


বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও বছর জুড়েই ধারাবাহিক ছিলেন তামিম। ৫ ফিফটিতে ৫৩৭ রান করেছেন তিনি। তবে ৩৩.৫৬ গড়টা তার মাপের ব্যাটসম্যানের জন্য কিছুটা কম। 

সৌম্য সরকার 


নিয়মিত রান না পাওয়ায় দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সৌম্য সরকারের। তবে বছরের শুরুতে ধারাবাহিক থাকায় ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন সেরা পাঁচে। মোট ৭ টেস্ট খেলে ৩২.২১ গড়ে সৌম্য করেছেন ৪৫১ রান। আছে টানা চার টেস্টে ফিফটি। 

সাব্বির রহমান 

টেস্টে সাব্বিরের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। খেলার ধরনে এই ফরম্যাট তার সঙ্গে মাননসই কিনা তা নিয়ে রয়েছে মতবিবেদ। এসবের মধ্যেও বছরে ৮ টেস্ট খেলে ৩৮২ রান করে সেরা পাঁচে টিকে গেছেন তিনি। তবে তিন ফিফটি আর ২৫.৪৬ গড়টা ঠিক জুতসই নয়।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

7h ago