আমরণ অনশনে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা
সরকার স্বীকৃত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আজ থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।
আজ রবিবার সকাল ৯টার দিকে প্রায় দুই শ শিক্ষক প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে বসেন বলে সেখান থেকে জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টার এর স্টাফ ফটোগ্রাফার।
এমপিওভুক্তির দাবিতে “নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন” ব্যানারে গত মঙ্গলবার থেকে একই জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলনের পঞ্চম দিনে গতকাল শনিবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাদের আন্দোলন থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান। শিক্ষামন্ত্রীর এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বেসরকারি যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারের দেওয়া বেতন পান সেসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত বলা হয়। এই পদ্ধতিতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মূল বেতনের ১০০ ভাগ সরকার প্রদান করে। মূল বেতন ছাড়াও নাম মাত্র পরিমাণে হলেও অন্যান্য ভাতা দেওয়া হয়।
বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করা হয়। এর পর সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের সরকারি বেতনক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, দেশে বর্তমানে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে এক দশকেরও বেশি সময় থেকে বিনা বেতনে পাঠদান করছেন এমন শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।
ছয় বছর বন্ধ থাকার পর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সর্বশেষ ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজকে এমপিও ভুক্ত করে। “তহবিল সংকট” দেখিয়ে তখন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে আর এমপিও ভুক্ত করা হয়নি। বাদ পড়া শিক্ষকরা তখন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৪০টি। এসব প্রতিষ্ঠানে চার লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন।
Comments