মন্ত্রিসভায় যুক্ত হচ্ছে নতুন মুখ
বর্তমান সরকারের চতুর্থ বছরে এসে মন্ত্রিসভা বর্ধিত করা হচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণের জন্য বেশ কয়েকজনকে বঙ্গভবনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গভবন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মন্ত্রিসভায় নিয়োগ সম্পন্ন করবেন ও তাদের শপথ পাঠ করাবেন।
নতুন মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চার জনের। গতকাল এদের মধ্যে তিনজনের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছে দ্য ডেইলি স্টার। তারা সবাই বঙ্গভবনে ডাক পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সূত্রে খবর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাংসদ একেএম শাহজাহান কামালকে পূর্ণ মন্ত্রী করা হতে পারে। এদের মধ্যে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি পেতে চলেছেন। মুহাম্মদ ছায়েদুল হক মারা যাওয়ার পর থেকে ওই পদটি শূন্য রয়েছে।
অন্যদিকে শাহজাহান ১৯৭৩ সালে ও ২০১৪ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন। গতরাতে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তাকে বঙ্গভবনে উপস্থিত থাকার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোনে অনুরোধ করা হয়েছে।
তার অধীনে কোন মন্ত্রণালয় দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্ত নিবেন।
রাজবাড়ী-১ আসনের সাংসদ কাজী কেরামত আলীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোও জানিয়েছে তিনিও বঙ্গভবনে উপস্থিত থাকার জন্য ডাক পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ সূত্রগুলো জানায়, চার বারের এমপি কেরামত আলীকে পূর্ণ মন্ত্রী করা হতে পারে। বর্তমানে তিনি সরকারি প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি মোস্তফা জব্বারকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হতে পারে। বিজয় বাংলা কি-বোর্ডের উদ্ভাবক ও বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে তিনি পরিচিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ম্যানিফেস্টো নিয়ে তিনি কাজ করেছিলেন।
সূত্রগুলো বলছে, আইসিটি সেক্টরে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে মন্ত্রী করা হতে পারে।
খুলনা-৫ আসনের এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ গত রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ বঙ্গভবনে উপস্থিত থাকার জন্য তিনিও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন পেয়েছেন। তিনি বলেন, “বিকালে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। আগামীকাল [মঙ্গলবার] ৬টায় আমাকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”
এর আগে বর্তমান সরকারের দেড় বছর বয়সে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করেন প্রধানমন্ত্রী। তখন আসাদুজ্জামান খান কামালকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইয়াফেস ওসমানকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী করা হয়। এছাড়াও নুরুল ইসলাম বিএসসিকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি তারানা হালিমকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও মো. নুরুজ্জামানকে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
তারও আগে ২০১৪ সালের শেষ দিকে তখনকার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিউইয়র্কের এক অনুষ্ঠানে হজ নিয় ‘বিরূপ মন্তব্যের’ অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
Comments