২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে চকোলেট!
চকোলেট প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, যে গাছের বীজ থেকে চকোলেট তৈরি হয় সেই কোকো গাছ আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক এন্ড এটমোসফেরিক এডমিনিস্ট্রেশনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী থেকে চকোলেট বিলুপ্ত হলে তার জন্য দায়ী থাকবে জলবায়ু পরিবর্তন।
তবে এর একটি উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে স্নিকার্স ও টুইক্স বার প্রস্তুতকারী চকোলেট কোম্পানি মার্স। তারা কোকো গাছের এমন একটি জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন যা জলবায়ু পরিবর্তনের ধকল সহ্য করে টিকে থাকতে পারে। এর জন্য কোম্পানিটি এখন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলের সাথে যৌথভাবে গবেষণা চালাচ্ছে।
বিশ্বের বেশিরভাগ চকোলেট আসে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো থেকে। কোকো গাছের জন্য সেখানকার রেইনফরেস্ট সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। কিন্তু বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, যে হারে উষ্ণায়ন হচ্ছে হচ্ছে তাতে আগামী ৪০ বছরের মধ্যে আফ্রিকার পার্বত্য এলাকা ছাড়া আর কোকো বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। কিন্তু সেখানেও সমস্যা রয়েছে। এ ধরনের এলাকাগুলো ইতোমধ্যে বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য করে ফেলা হয়েছে; ফলে চাষবাসের জন্য মোটেও উপযোগী নয়।
সমস্যার উপায় বের করতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলের বিজ্ঞানীরা এখন কোকো গাছের ডিএনএ-তে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন। তাদের আশা এই কাজে সফল হওয়া গেলে গাছগুলো উষ্ণ পরিবেশেও টিকে থাকবে। ফলে আর পাহাড়ের ওপর ফার্ম করার চিন্তা করতে হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক এন্ড এটমোসফেরিক এডমিনিস্ট্রেশনের বিজ্ঞানীরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন হলেও এই প্রজন্মের কোকো গাছগুলো তা সয়ে যেতে পারবে। কিন্তু এর কুপ্রভাব পড়বে পরের প্রজন্মের গাছগুলোর ওপর। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এখন যে ধরনের জমিতে কোকো চাষ করা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে তার প্রায় ৯০ ভাগ জমিই চাষযোগ্যতা হারাবে।
এই সমস্যার হাল বের করতে খরা সহ্য করতে পারে এমন জাত উদ্ভাবনের দিকে দিকে মনোযোগ দিতে বলছে সংস্থাটি। সূত্র: দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট
Comments