পাকিস্তানকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ৯০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সাহায্য প্রত্যাহার
সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় ট্রাম্প প্রশাসন দেশটিকে দেওয়া অন্তত ৯০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সাহায্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ওয়াশিংটনে গতকাল (৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট বলেন, এই প্রত্যাহার সাময়িক এবং শুধুমাত্র সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বন্ধ থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় বিদ্যমান সহযোগিতা “পুরোপুরি প্রত্যাহার” করে নেওয়ার কথা নেই। উপরন্তু, নতুন প্রস্তাবে “শর্ত সাপেক্ষ” এবং “ইস্যু-ভিত্তিক” সহায়তার কথা রয়েছে।
নুয়ার্ট বলেন, “অত্র অঞ্চলে তালিবানসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাকিস্তান যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত এই তহবিল স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাকিস্তান আশাবাদী হতে পারে তবে সন্ত্রাস দমনে যা করা প্রয়োজন দেশটি তা করছে না।”
যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংক্রান্ত কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, সামরিক যন্ত্রপাতি এবং নিরাপত্তা-সর্ম্পকিত তহবিলের ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রত্যাহার বলবৎ থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আর্থিক হিসেবে কত ডলারের সহযোগিতা বন্ধ থাকছে এমন প্রশ্নের জবাবে নুয়ার্ট বলেন, “আমরা এখনো এর পরিমাণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”
কিন্তু, ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে পাকিস্তানকে দেওয়া ফরেন মিলিটারি ফিনেন্সিং (এফএমএফ) তহবিলের ২৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিমাণ অর্থ সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে তার বন্ধুপ্রতীম দেশকে দিয়ে থাকে সামরিক যন্ত্রপাতি এবং প্রশিক্ষণের খরচ হিসেবে।
এছাড়াও, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার জন্যে কোয়ালিশন সাপোর্ট ফান্ড থেকে পাকিস্তানকে যে ৭০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হয় তা কমিয়ে অর্ধেক করে দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
আরো পড়ুন:
Comments