তাসকিন-সৌম্য বাদ, ফিরলেন এনামুল-রাজু
অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হয়েছে। প্রথমবারের মতো পারফম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার। দীর্ঘদিন পর ফিরেছেন ওপেনার এনামুল হল বিজয়, আবুল হাসান রাজু ও মোহাম্মদ মিঠুন।
রোববার ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ১৬ জনের দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। আগের সিরিজের দল থেকে তাতে আছে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন।
গেল বছর টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করলেও ওয়ানডেতে রানের খরা ছিল সৌম্যের ব্যাটে। রান পাননি বিপিএলেও। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল হাতে একদম নির্বিষ ছিলেন তাসকিন, তিনিও কিছু করে দেখাতে পারেননি বিপিএলে। তাসকিন-সৌম্যের ঠিক বিপরীত অবস্থা এনামুল হক বিজয়ের। বিপিএলে টুকটাক রান পেয়েছেন। জাতীয় লিগে করে ফেলেছেন দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। তাতেই তাকে বিবেচনায় রাখছেন নির্বাচকরা। ২০১৫ বিশ্বকাপে গিয়ে চোটের কারণে জায়গা হারিয়েছিলেন। ত্রিদেশীয় সিরিজে তামিমের সঙ্গী হয়ে সেই জায়গা ফিরে পেলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওয়ানডে দলে থাকা লিটন দাস, মুমিনুল হকও নেই এবার।
২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয় সৌম্য সরকারের। ২০১৫ বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়ে ওই বছর ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চোখ জুড়ানো ব্যাট করেন এই বাঁহাতি। দলে জায়গা পাকা হয়ে যায় তার। তবে গত কিছুদিন ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না এই ওপেনারের। ওদিকে ২০১৪ সালে জুনে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়ে অভিষেক তাসকিনের। পরের দুই বছর বাংলাদেশের বড় বড় সব জয়ে অবদান আছে তার। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বেদম মার খেয়েও উইকেটের দেখা পাননি তিনি।
এদিকে বিপিএলে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে নির্বাচকদের নজরে ছিলেন আবুল হাসান রাজু। অনেকটা চমক হয়েই দলে ফিরেছেন তিনি।২০১৪ সালে দুটি ওয়ানডে খেলেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর বিপিএলের পারফরম্যান্স দিয়েই ফিরলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে চোটের কারণে ওয়ানডে দলে ছিলেন না মোস্তাফিজুর রহমান। অনুমিতভাবেই দলে আছেন তিনি। দলে নেওয়া হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামকে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ওয়ানডে স্কোয়াড: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি মর্তুজা (অধিনায়ক) , রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, সানজামুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মোহাম্মদ মিঠুন, আবুল হাসান রাজু।
Comments