দেশে ফিরল ভারতে আটক কিশোর প্রেমিক-প্রেমিকা

​ঘটনাটি গল্পের মতো। বছর দেড়েক আগে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শিয়ালকোল গ্রামের কিশোর বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে কাঁটাতারের বেড়া টপকে ভারতের অনুপ্রবেশ করেছিল। ইচ্ছা ছিল, ভারতের পাকাপাকিভাবে থেকে যাওয়ার।
ভারতে আটক কিশোর প্রেমিক-প্রেমিকা
দেশে ফেরার পথে হিলি সীমান্তে মা-বাবার সাথে কিশোর অমৃত সূত্রধর। ছবি: স্টার

ঘটনাটি গল্পের মতো। বছর দেড়েক আগে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শিয়ালকোল গ্রামের কিশোর বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে কাঁটাতারের বেড়া টপকে ভারতের অনুপ্রবেশ করেছিল। ইচ্ছা ছিল, ভারতের পাকাপাকিভাবে থেকে যাওয়ার।

কিন্তু বিধিবাম! ভিন্ন ধর্মের প্রেম না নামা সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পালাতে গিয়েও সীমান্তের ওপারে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ধরা পড়ে এই যুগল।

প্রেমিকার জায়গা হয় মালদা চিলড্রেন হোমে। আর প্রেমিকের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের শুভায়ন হোমে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় আইনে দ্রুতই ফেরত পাঠানো হয়। সে অনুযায়ী তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করেন দুই দেশের সংশ্লিষ্টরা।

প্রায় ১৩ মাস পর সেই যুগলের প্রেমিককে আজ রবিবার ৭ জানুয়ারি ফেরত পাঠানো হল ভারত-বাংলাদেশের হিলি সীমান্ত দিয়ে। আর পনেরো দিন আগে ফেরত পাঠানো হয় প্রেমিকাকে।

যদিও প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রেমিকার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অপহরণের মামলায় সীমান্ত পার হওয়ার পরই গ্রেফতার হতে পারেন নিজের দেশে ফেরা কিশোর অমৃত সূত্রধর।

মাত্র পনেরো দিনের ব্যবধানে কিশোর প্রেমিক-প্রেমিকা দেশে ফিরলেও তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে- এই প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছে।

দক্ষিণ দিনাজপুরের চাইল্ড লাইনের কোঅর্ডিনেটর সূরজ দাশ গল্পের মতো এই ঘটনাটি বললেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে আরও জানান, রবিবার সকালে অমৃত সূত্রধরকে হিলি সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। যেহেতু ১৮ বছরের কম বয়সেই দুজনকে পুলিশ আটক করেছিল, তাই কোর্টের নির্দেশে ছেলেটিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের শুভায়ন হোমে রাখা হয়েছিল। আর মেয়েটিকে রাখা হয়েছিল মালদা চিলড্রেন হোমে।

হিলি সীমান্তে প্রত্যর্পণ করার সময় ছেলেটির বাবা সুকুমার সূত্রধর ও মা বুলবুলি সূত্রধরও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভারতের হিলি সীমান্ত থানার ওসি, দক্ষিণ দিনাজপুর আইসিপি বিকাশ মণ্ডল, আইসিডিসি কর্মকর্তা সুবোধ দাস, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা ঋষিকেশ চক্রবর্তী, সমাজসেবী সুবোধ বর্মণ এবং শুভায়ন হোমের কর্মকর্তা পরেশ হাজরা ছাড়াও বাংলাদেশের হিলি থানার কর্মকর্তা, বিজিবি এবং বিএসএফের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago