রোহিঙ্গা হত্যায় সম্পৃক্ততা স্বীকার করল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী
রোহিঙ্গাদের হত্যায় জড়িত থাকার কথা অবশেষে স্বীকার করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং লেইং গতকাল বলেছেন, সেপ্টেম্বরে ১০ জন রোহিঙ্গা হত্যার সাথে সেনাবাহিনী জড়িত ছিল।
সেনাপ্রধান ফেসবুক পোস্টে বলেন, গত বছর ২ সেপ্টেম্বর রাখাইনের ইন দিন গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। রাখাইনের একটি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে রোহিঙ্গাদের উত্তেজনা তৈরি হওয়ার পর তাদের হত্যা করা হয়। তবে তারা “বাঙালি সন্ত্রাসী” ছিলেন বলেও দাবি সেনাপ্রধানের।
“ইন দিন গ্রামের কিছু লোক ও সেখানে দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা ১০ জন বাঙালি সন্ত্রাসীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।”
(স্যাটেলাইট থেকে তোলা রোহিঙ্গাদের গ্রামের ছবি তুলনা করতে মাঝের বারটিকে বামে অথবা ডানে টানুন)
মিয়ানমার সরকারিভাবে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করে না। সংখ্যালঘু এই জনগোষ্ঠীটিকে “বাঙালি” বলে তারা। রাখাইনে গোলযোগের জন্য রোহিঙ্গাদেরই দায়ী করে আসছে দেশটির সরকার। গত আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর সর্বশেষ নিধনযজ্ঞ শুরু হয়। তখন থেকে প্রাণে বাঁচতে সাড়ে ছয় লাখের ওপর রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
ফেসবুকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের হত্যার পর গণকবর দেওয়ার কথাও স্বীকার করেন সেনাপ্রধান। এর আগে রোহিঙ্গা হত্যা ও তাদের গ্রামে আগুন দেওয়ার কথা অব্যাহতভাবে অস্বীকার করে আসছিল মিয়ানমার সরকার।
Comments