বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুম এখন ‘অনেকটাই নির্ভার’
নতুন বছর, নতুন সিরিজ। কোচিং স্টাফে চণ্ডিকা ৭ না থাকা। নতুন অনেক কিছুই আছে। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা জানালেন দলের ড্রেসিং রুমও নাকি এখন অনেকটাই নির্ভার।
এই প্রথম কোন সিরিজে বাংলাদেশ দলে ভারপ্রাপ্ত কোন কোচও নেই। খালেদ মাহমুদ সুজন আছেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্বে। সহকারি কোচ রিচার্ড হ্যালসাল, পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশসহ বেশ বড়োসড়ো সাপোর্ট স্টাফ আছে। তবে মাশরাফি ড্রেসিং রুম থেকে বাড়তি কোন চাপ অনুভব করছেন না, ‘মানসিক চাপ সব সময় থাকে। এটা স্বাভাবিক। অধিনায়ক হিসেবে এটা থাকবে। এখনও সেটা আছে। নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থাকবে যে ভিতরে কিভাবে অ্যাপ্লিকেশন করবো। তবে ড্রেসিং রুম অনেকটাই নির্ভার। যে প্রেসারটা সব সময় ড্রেসিং রুমে থাকে সেই প্রেসারটা এখন ফিল করছি না।’
যেকোনো পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের নির্ভার রাখতে চান অধিনায়ক, নিজেও থাকতে চান স্বস্তিতে, তবে তা মাত্রা মেনেই, ‘ড্রেসিং রুমে আমি যখন আমার খেলোয়াড়ের রিল্যাক্স দেখি কিংবা দেখব তখন অধিনায়ক হিসেবেও আমার রিল্যাক্স থাকতে সুবিধা হয়। অনেকটা রিল্যাক্স মনে হচ্ছে। পাশাপাশি এটা চাই না অনেক বেশি রিল্যাক্স থাকুক। বেশি রিল্যাক্স থাকলে….মাঠে নেমে কঠিন পরিস্থিতিতে হয় কি … অনেক সময় নার্ভারনেস থেকে সেরা পারফরম্যান্স বের হয়ে আসে। আমি আশা করব আমার মেইন জায়গাটা ঠিক থাকে। তারপর অন্য কিছু।’
হাথুরুসিংহের দায়িত্বকালে বাংলাদেশ পেয়েছে বড় বড় সাফল্য। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলা। ঘরের মাঠে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জেতা। টেস্টে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডকে হারানোকে অনেকেই কোচের সাফল্য হিসেবে দেখেন। কোচকে স্যালুট দিয়েও মাশরাফি বাহবাটা দিতে চাইলেন খেলোয়াড়দের, ‘ অন বিহ্যাফ অফ দ্যা প্লেয়ার আমি হাথুরুসিংহকে স্যালুট জানাই। অবশ্যই তার আন্ডারে খেলে আমরা ভালো ফল পেয়েছি। অবশ্যই ক্রেডিট তাকে দিতে আমাদের বিন্দুমাত্র সংকোচ নেই। আমি যেটা মনে করি যেই কোচ থাকুক তাকে শতভাগ আমরা ব্যাক করেছি খেলোয়াড়রাও। আমাদের বলতে সেটা দ্বিধা নেই। আবার ক্রেডিট ছেলেদের দিতে হবে যেভাবে তারা খেলেছে।’
Comments