জাকিরের ডাবল সেঞ্চুরির পর অলকের ঝড়
ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন জাকির হাসান। ১৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন অলক কাপালী। সেঞ্চুরি করেছেন ইয়াসির আলি চৌধুরীও। তাতে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছে পূর্বাঞ্চলের রান।
বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৭৩৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে পূর্বাঞ্চল। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মধ্যাঞ্চলের বোলারদের নিয়ে প্রথম দুইদিনে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন পূর্বাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা।
প্রথম শ্রেণিতে দেশের ইতিহাসের এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০১৩-১৪ মৌসুমে জাতীয় লিগে রাজশাহীর বিপক্ষে ঢাকা বিভাগ করেছিল ৭৫৬। সেই স্কোরই এখনো সর্বোচ্চ।
আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে আউট হয়েছিলেন লিটন দাস। ডাবল সেঞ্চুরির আভাস দিয়ে রেখেছিলেন জাকির হাসান। দ্বিতীয় দিনে ১৫৬ রান নিয়ে নেমে জাকির তোলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। ৩২০ বলে শুভাগত হোমের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ২১১ রান।
জাকিরের সঙ্গে দিন শুরু করা তাসামুল হক করেন ফিফটি। তবে দিনের মধ্যভাগে নেমে আসল চমক দেখিয়েছেন অভিজ্ঞ অলক। ১৩৯ বলে ১৬৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১০ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৯ ছক্কা। অলকের সঙ্গে ২২১ রানের বিশাল আরেক জুটি গড়া ইয়াসির আলি চৌধুরীও পেয়ে যান সেঞ্চুরি। ১৩২ রান করে আবু হায়দার রনির বলে ফিরে যান তিনি।
রান দেওয়ায় সেঞ্চুরি করেছেন মধ্যাঞ্চলের চার বোলার। শুভাগত হোমই সবচেয়ে বেশি বোলিং করেছেন, রানও দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। ৩ উইকেট নিয়ে এতেও তিনি এক নম্বরে। লেগ স্পিনার তানবীর হায়দার ১৬৪ রান দিয়েও পাননি কোন উইকেট। ১২২ রান দিয়ে একই দশা বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেনের। পেসার তাসকিন আহমেদকে ১ উইকেট নিয়ে খরচ করতে হয়েছে ১১৩ রান।
শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার রবিউল ইসলামের উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করেছে মধ্যাঞ্চল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৬৪ ওভারে ৭৩৫/৬ ডিক্লে. (লিটন ১১২, মারুফ ১৭, মুমিনুল ৪, জাকির ২১১, তাসামুল ৬০, ইয়াসির ১৩২, কাপালী ১৬৫*, সোহাগ ১৬*; তাসকিন ১/১১৩, হায়দার ১/৬৭, মোশাররফ ০/১২২, শুভাগত ৩/১৮৩, তানবীর ০/১৬৪, রবি ০/১৪, মেহরাব জুনিয়র ০/৪৮, মার্শাল ০/৯)
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১১ ওভার ৪০/১ (রবি ১৭, সাদমান ১৮*, মেহরাব জুনিয়র ৩*; খালেদ ০/২০, সোহাগ ১/১৩, নাজমুল ০/৭)
Comments