মোস্তাফিজের ৩৯ বলের ৩৩টাই ডট

Mustafizur Rahman
জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে দেওয়ার পর মোস্তাফিজ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা বোধহয় পণ করেই নেমেছিলেন, ‘মোস্তাফিজের বলে কোন রান নেওয়া যাবে না’। কারণ কাটার মাস্টারের বল পেটানো বড় দায় হয়ে পড়েছিল। এক দুই রান বের করতেই অবস্থা বেগতিক, ছক্কা পেটাতে গেলে যদি পেতে হয় অক্কা। তারচেয়ে বরং সমঝে চলাই ভাল। পরিস্থিতি এমন ছিল যে তার করা প্রথম তিন ওভারই মেডেন। নিজের সপ্তম ওভারে জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে দেওয়ার সময় খরচ করেছেন মাত্র ১৬ রান। 

ম্যাচে মোস্তাফিজকে বল দেওয়া হয় ১৪তম ওভারে। ততক্ষণে ৪ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে জিম্বাবুয়ে। মোস্তাফিজ এসে সেই কাঁপুনি আরও বাড়িয়েছেন। প্রথম তিন ওভারই মেডেন। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে দিয়েছেন কেবল ১ রান। ওই স্পেলে তার বোলিং ফিগার ৪-৩-১-০! 

পরের স্পেলে ফিরে মোস্তাফিজকে আর ঠেকিয়ে পারেননি সিকান্দার রাজারা। চাপে পড়ে রান বের করতে গিয়েছিলেন।এক-দুইটা মেরেই হয়েছেন কুপোকাত। 

৩৩তম ওভারে মোস্তাফিজ আবার যখন বল করতে আসেন ততক্ষণে ৭ উইকেট নাই ক্রেমারের দলের। ওই ওভারের প্রথম বলে চার মেরে দেন সিকান্দার। এক বল পরই থেমেছে তার দৌঁড়। কাটারে থতমত খেয়ে বল স্টাম্পে এনে ফেরত যান সিকান্দার রাজা। তিনিই জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ স্কোরার। পরের বলেই উইকেট যেতে পারত আরেকটি। এজ হওয়া বল স্লিপ গলে চলে যায় বাউন্ডারিতে। পরের ওভারেও তৈরি করেছিলেন উইকেট নেওয়ার মতো পরিস্থিতি। 

এক ওভার পরই জার্ভিসকে আউট করে শেষ করে দেন জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ৬ ওভার ৩ বল করে ১৬ রানে ২ উইকেট। তাতে ৩৩ বলেই আসেনি কোন রান। 

চোটে পড়ার পর এই সিরিজেই দেখা মিলছে চেনা ছন্দের মোস্তাফিজের। ব্যাটসম্যানদের ভড়কে দিচ্ছেন মায়াবী সব কাটারে। কব্জির ঝাঁকুনিতে বারবার ফেলছেন বেকায়দায়। টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচের দিকে দেখলে মনে হবে মোস্তাফিজ তো 'ডট মাস্টার'। প্রথম ম্যাচে দিয়েছিলেন ৪১টি ডট বল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ ওভার বল করেই ১৬টি ডট। তিন ম্যাচ মিলিয়ে মোস্তাফিজ ছুঁড়েছেন ১২৯টি বল, যার ৯০টি বলই ডট। 

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

2h ago