মিয়ানমারের উপদেষ্টা প্যানেল থেকে রিচার্ডসনের পদত্যাগ

​রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমার সরকারের গড়া আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা প্যানেল থেকে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক বিল রিচার্ডসন। তার অভিযোগ, মিয়ানমারের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কাজ করছে এই উপদেষ্টা প্যানেল। অং সাং সু চির নৈতিকতার ঘাটতিরও অভিযোগ তুলেছেন রিচার্ডসন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর বিল রিচার্ডসন। ছবি: রয়টার্স

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমার সরকারের গড়া আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা প্যানেল থেকে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক বিল রিচার্ডসন। তার অভিযোগ, মিয়ানমারের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কাজ করছে এই উপদেষ্টা প্যানেল। অং সাং সু চির নৈতিকতার ঘাটতিরও অভিযোগ তুলেছেন রিচার্ডসন।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ১০ সদস্যের একটি আন্তর্জাতিক প্যানেল গঠন করেছে মিয়ানমার। প্যানেল সদস্যরা সম্প্রতি রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে যান যেখানে সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে গত কয়েক মাসে প্রায় সাত লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিনটন সরকারের আমলে মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন রিচার্ডসন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিচার্ডসন বলেন, আমার পদত্যাগের মূল কারণ হল, ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই উপদেষ্টা প্যানেল কাজ করছে। মিয়ানমার সরকারের “চিয়ারলিডিং স্কোয়াডের” অংশ হতে চাই না আমি।

রিচার্ডসন বলেন, গত সোমবার অং সাং সু চির সাথে বৈঠকে তাদের দুজনের মধ্যে তর্ক হয়। উপদেষ্টা প্যানেলের অন্য সদস্যরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মিয়ানমারের “কর্মকর্তাদের গোপনীয়তা সংক্রান্ত আইন” ভঙ্গের অভিযোগে রয়টার্সের দুজন সাংবাদিকের বিচারের কথা তোলার পর সু চি তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বলেও তার অভিযোগ।

নিউ মেক্সিকোর সাবেক এই গভর্নরকে সু চি বলেন, উপদেষ্টা বোর্ডের কাজের সাথে সাংবাদিকদের মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। বৈঠকের পর সেদিন সন্ধ্যায় ডিনারেও তাদের মধ্যে তর্ক চলে।

এ প্রসঙ্গে সু চির মুখপাত্র জাও তায় বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, উপদেষ্টা বোর্ডের সাথে বৈঠকটি ছিল রাখাইনের সমস্যা নিয়ে। কিন্তু রিচার্ডসন এমন একটি প্রসঙ্গ তোলেন যেটি আলোচনা হওয়ার সুযোগ ছিল না। ভুল বোঝাবোঝি থেকে পদত্যাগে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।

রয়টার্সের ওই দুই সাংবাদিক রোহিঙ্গা নিপীড়নের খবর সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন। ইয়াঙ্গুনে পুলিশ কর্মকর্তাদের আয়োজিত একটি ডিনারে নিমন্ত্রণে যাওয়ার পর গত ১২ ডিসেম্বর তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সম্পর্কে পুলিশের বরাত দিয়ে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, রাখাইনের নিরাপত্তা নিয়ে গোপন নথিপত্র ছিল তাদের কাছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago