দূষণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে শুধু বুরুন্ডি
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্সে (ইপিআই) বাংলাদেশের হতাশাজনক চিত্র উঠে এসেছে। দূষণ রোধে অগ্রগতির সূচকে শেষ দিক থেকে দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সুজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের সাইডলাইনে ইপিআই সূচকে ১৮০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ১৭৯ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। একমাত্র বুরুন্ডি বাংলাদেশের নিচে রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরেমের সাথে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটি ও কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এনভায়রনমেন্ট পারফমেন্স ইনডেক্স তৈরি করেছে। প্রতি দুই বছর অন্তর এই পরিবেশের মান নিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
পরিবেশে মানের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ২৯ দশমিক ৫৬। তালিকায় ৮৭ দশমিক ৪২ স্কোর নিয়ে সরবার ওপরে স্থান পেয়েছে সুইজারল্যান্ড। ইয়েলনিউজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বল্প ইপিআই স্কোরের মানে হল এই দেশগুলোকে পরিবেশের মান উন্নয়নে বিভিন্ন দিকে বিশেষ করে বাতাসের দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমণ হ্রাসে আরো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শুধু তাই নয় খারাপ স্কোর কিছু দেশের জন্য দুর্বল শাসন ব্যবস্থার দিকেও ইঙ্গিত করে বলে প্রতিবেদনটিতে মন্তব্য করে হয়েছে।
সার্বিক পরিবেশের মানের দিক থেকে সুইজারল্যান্ডের পর প্রথম পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, ডেনমার্ক, মালটা ও সুইডেন। শুধু তাই নয় তালিকায় প্রথম ১৫ টি দেশের সবগুলোই ইউরোপের। আর যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ২৭তম অবস্থানে।
বাতাসের মানের দিক থেকে শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে ভারত। দেশটির স্কোর ৫ দশমিক ৭৫। তীব্র বায়ুদূষণের সমস্যা রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে চীনের ১৪ দশমিক ৩৯ ও পকিস্তানের ১৫ দশমিক ৫৯ স্কোর।
ইপিআই তৈরিতে বায়ুর মান, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন, পানিসম্পদ, ভারী ধাতুর উপস্থিতি, কৃষি, বনায়ন, মত্স্যসম্পদ, জীববৈচিত্র্য, আবহাওয়া ও জ্বালানির মত ২৪টি সূচককে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
Comments