সাব্বির-নাসিরের ‘দুই ঘাটতি’

Nasir Hossain
১৩ বলে মাত্র ৩ রান করে আউট হন নাসির। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচে মিডল অর্ডারে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ক্রিজে ছিলেন সব্বির রহমান ও নাসির হোসেন। তবে দুজনেই দ্রুত ফিরে বাড়িয়েছেন সেই চাপ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিপর্যয়ে পড়া দলকেও তারা পারেননি টানতে। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা একমত হলেন তাদের দুই ঘাটতি নিয়ে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৭ থেকে ১৬৫ রানে যেতে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ স্বীকৃত দুই ব্যাটসম্যান সাব্বির ও নাসিরের কাঁধে পড়েছিল দলের ভার। সাব্বির ৬ আর নাসির ২ রান করে আউট হলে ১৭০ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও পাল্টায়নি চিত্র। ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে যোগ দেন সাব্বির। দলের রান ৫৭ তে নিয়ে বাজে শট ফিরে যান তিনি। এই ম্যাচে ৭৯ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর নেমেছিলেন নাসির। শেষ দিকে তার কাছ থেকে দলের চাওয়া ছিল বাড়তি নিবেদন। লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে ওয়াইড হতে যাওয়া বলে ব্যাট লাগিয়ে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। সংবাদ সম্মেলনে এই দুজনের মনস্তাত্ত্বিক ও টেম্পারমেন্টের ঘাটতি ছিল কি না এমন প্রশ্নে প্রশ্নকর্তার সঙ্গে একমত হলেন মাশরাফি,

যে দুটো জিনিস বলেছেন এমনটা হতে পারে। মেন্টালি এই চাপটা নিতে পারছে কিনা, আরেকটা হচ্ছে টেম্পারমেন্ট। হয়তবা তারা রানটাকে বেশি পছন্দ করে, সময় কাটানোর চেয়ে মনে করে রানটা কুইক আসলে তাড়াতাড়ি সেট হয়ে যেতে পারে।

অধিনায়ক মনে করছেন দীর্ঘ পরিসর থেকে উইকেট থাকার অভ্যাস গড়ে না উঠাই এর কারণ, ফার্স্ট ক্লাসেও যদি দেখেন তিন, চার উইকেট পড়ার পরো স্ট্রাইকরেট কিন্তু ১০০ থাকে। কাজেই ওই অভ্যাসটা আমাদের কম। এমনকি ওয়ানডে ম্যাচেও যে কখনো কখনো উইকেট পড়ে গেলে ছোট সময়ে জন্য উইকেটে সেট হয়ে রান করা, ওই অভ্যাসটা হয়তবা ন্যাচারালি আমাদের ক্রিকেটে একটু কম আছে। এখানে একটা ঘাটতি থাকতে পারে।

ছয় ও সাতে ব্যাট করায় সাব্বির ও নাসিরের কাছে দলের চাওয়া স্লগ ওভারের ঝড়। দল বিপর্যয়ে পড়লে আবার পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং। অধিনায়কের চাওয়া ফাইনালের আগে নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নিক তারাআমার মনে হয় ওরা নিজেরাও খারাপ ফিল করছে আমার থেকেও। আমি চাইব যে ফাইনালের আগে এটা নিয়ে তারা চিন্তা করুক।

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit report against Hasina, 2 others

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

1h ago