‘মেঘে ঢাকা তারা’-র সুপ্রিয়া দেবী আর নেই

প্রয়াত হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী। আজ (২৬ জানুয়ারি) সকালে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

প্রয়াত অভিনেত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ টালিগঞ্জের শিল্পী-কলাকুশলীরা। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া পড়েছে।

সুপ্রিয়া দেবীর কন্যা সোমা চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর মা হৃদরোগে ভুগছিলেন। শুক্রবার সকাল ছটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে বাথরুম গিয়েছিলেন। এরপর বিছানায় শুয়ে পড়েন। হয়তো ঘুমের মধ্যেই প্রয়াত হন মা।

এ ঘটনা বাড়ির লোকজন বুঝতেই পারেনি বলে জানান সোমা চট্টোপাধ্যায়।

মাত্র সাত বছর বয়সে বাবার হাত ধরে সুপ্রিয়া দেবীর থিয়েটারে আত্মপ্রকাশ। প্রহ্লাদ দাসের কাছে নাচ শিখেছিলেন।

সুপ্রিয়া দেবীর প্রয়াণে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে বড় ধরণের ক্ষতি হলো। তাঁর অভিনীত বেশ কিছু ছবি চলচ্চিত্র ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

তাছাড়া, বাংলা চলচ্চিত্রে দর্শকদের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে উত্তম-সুপ্রিয়া জুটিও।

সুপ্রিয়া দেবী ‘বসু পরিবার’ ছবিতে উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনয় করে প্রথম পর্দায় আত্ম প্রকাশ করেছিলেন। এরপর ‘মেঘে ঢাকা তারা’ সিনেমায় তাঁর অনবদ্য অভিনয় মুগ্ধ করে সবাইকে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে টেলিভিশনে বেশ কিছু ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছিলেন তিনি।

৬০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুপ্রিয়া। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৪৫টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। দেশ-বিদেশের বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে পদ্মশ্রী-পদ্মবিভূষণ অন্যতম।

Comments

The Daily Star  | English
government bank borrowing target

Govt to give special benefits to employees, pensioners from July 1

For self-governing and state-owned institutions, the benefit must be funded from their budgets

1h ago