শ্রীলঙ্কাকে ২২১ রানে আটকে রাখল বাংলাদেশ

শুরুতে উইকেট হারালেও এক সময় মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার নিয়ে ফেলতে পারে তিনশ রান। তবে মাঝের ওভার দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২২১ রানেই বেধে ফেলেছে বাংলাদেশ। ৪৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশে বোলিং হিরো রুবেল হোসেন। মোস্তাফিজ নিয়েছেন ২৯ রানে ২ উইকেট।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেছেন উপুল থারাঙ্গা। ফিফটির কাছে গিয়ে ফিরেছেন নিরোশান ডিকভেলা ও দিনেশ চান্দিমাল। শুরুর দিকে ঝড় তুলে ফেরেন কুশল পেরেরা। শেষ দিকে আকিলা ধনঞ্জয়ার ১৭ রান ছাড়া দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি আর কেউ।

মাঝের ওভারে আটোসাটো বোলিংয়ের সঙ্গে পেসের ঝাঁজ দেখিয়েছেন রুবেল। মোস্তাফিজ ছিলেন পুরো ছন্দে। চোট পেয়ে সাকিব আল হাসান ৫ ওভারের বেশি বল করতে না পারলেও সে অভাব বুঝতে দেননি তারা। 

---

বিপদজনক হতে থাকা উপুল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে মোস্তাফিজের ৫০তম উইকেট নেওয়ার পর থিসিরা পেরেরাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন রুবেল হোসেন। ১৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। 



তৃতীয় উইকেটে বেশ ভালো জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন নিরোশান ডিকভেলা ও উপুল থারাঙ্গা। ডিকভেলাকে ফিরিয়ে তাদের ৭২ রানে জুটি ভাঙ্গেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সাইফুদ্দিনের বলে টপ এজ হয়ে ফেরত যান ৪২ রান করা ডিকভেলা। দলের রান তখন ১১৩। 

ওয়ানডাউনে নেমেই ঝড় তুলেছিলেন কুশল মেন্ডিস। মিরাজের এক ওভারে তিন ছয় আর এক চারে তুলে নিয়েছিলেন ২৪ রান। তাকে থামান মাশরাফি। আগ্রাসী খেলতে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান পুল করতে টপ এজ হয়ে বল যায় মিড অনে মিরাজের হাত। ৪২ রানে পড়ে লঙ্কানদের দ্বিতীয় উইকেট। 



দলে ফিরে তৃতীয় ওভারেই সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনফর্ম দানুশকা গুনাথিলেকা উড়াতে চেয়েছিলেন মিরাজের বল। টাইমিংয়ের গড়বড়ে বল উঠা যায় আকাশে, লং অফ থেকে বায়ে সরে ক্যাচ জমান তামিম। ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। 



টানা চার ম্যাচে টস জেতার পর ফাইনালে এসে হারলেন মাশরাফি মর্তুজা। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের শিরোপা লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিং  নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে এসেছে তিন পরিবর্তন।

ফাইনালের আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশাল হারের পর বেশ ঝাঁকুনিই লেগেছে বাংলাদেশ দলে। অন্তত একাদশে তিন পরিবর্তন দেখেই তাই মনে করা যায়। ৮২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার ম্যাচ থেকে বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়, নাসির হোসেন ও আবুল হাসান রাজু।

সাড়ে তিন বছর আগে ভারতের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে দলে আসা এই ব্যাটসম্যান নিচ্ছেন এনামুলের জায়গায়। ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী তিনিই।

অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের উপরও এই ম্যাচে আস্থা রাখছে না দল। সব ম্যাচেই দৃষ্টিকটু আউট আর বল হাতে বিশেষ কিছু করতে না পারায় বাদ পড়লেন তিনি। তার বদলে একাদশে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

তিন বছর পর ফিরেছিলেন আবুল হাসান রাজুও। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমেছিলেন সাত নম্বরে। তাতে হয়েছেন ব্যর্থ। বল হাতেও এই ম্যাচেও থেকেছেন উইকেট শূন্য। এই নিয়ে সাত ওয়ানডে খেলেও উইকেটের দেখা পাননি তিনি। একাদশে তাই ফিরেছেন আরেক পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

পরিবর্তন এসেছে শ্রীলঙ্কা দলেও। লাকসান সান্দাকানের জায়গায় অভিষেক হচ্ছে শিহান মধুশঙ্কা। 

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি মর্তুজা, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: উপুল থারাঙ্গা, দানুশকা গুনাথিলেকাম দিনেশ চান্দিমাল, নিরোশান ডিকভেলা, অ্যাসলে গুনারত্নে, কুশল মেন্ডিস, আকিলা ধনঞ্জয়া, সুরাঙ্গা লাকমাল, দুশমন্ত চামিরা, থিসিরা পেরেরা, শিহান মধুশঙ্কা। 

 

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

5h ago