নির্বাচনে যেতে খালেদার ৬ শর্ত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের জন্য ছয়টি শর্ত দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ ঢাকায় লা মেরিডিয়ান হোটেলে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভার উদ্বোধনী ভাষণে খালেদা এসব শর্তের কথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। নির্বাচনের মাধ্যমে এই পরিবর্তন আসবে।
নির্বাচনে আসার জন্য খেলেদা যেসব শর্তের কথা বলেন সেগুলো হল:
১. নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে
২. ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন সেজন্য নির্বাচনকালীন সরকারকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে
৩. নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে
৪. সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে
৫. নির্বাচনের সময় অবশ্যই সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তারা মোবাইল ফোর্স হিসেবে কাজ করবে
৬. ইভিএম/ডিভিএম মেশিন ব্যবহার করে ভোট নেওয়া চলবে না
খালেদা তার ভাষণে বলেন, নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একারণে স্বাধীনভাবে রায় দেওয়ার ক্ষমতা নেই তাদের। এসময় সব দলের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলারও আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের প্রাক্কালে খালেদার ডাকা এই সভায় রায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আদালত এই রায় দিবেন। বিএনপির চেয়ারপারসন মামলাটির প্রধান আসামী।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সকাল ১১টার দিকে বিএনপি প্রধান হোটেলে পৌঁছানোর পর শোক প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে ৫০২ সদস্যের জাতীয় কমিটির সভার কাজ শুরু হয়। প্রয়াত নেতাকর্মীদের স্মরণে এসময় এক মিনিটি নীরবতা পালন করা হয়। এর পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভায় সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন।
২০১৬ সালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের পর আজ প্রথমবারের মত বৈঠকে বসল এই কমিটি। দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু দলটির জাতীয় কাউন্সিলের প্রায় দুবছর বাদে আজ সভা হচ্ছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের আগে গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন দলটির নেতাকর্মীরা। পুলিশের ধারণা, মামলার রায় খালেদার বিরুদ্ধে গেলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করতে পারে বিএনপির নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে রায় সামনে রেখে ধরপাকড় চালানোর অভিযোগ করছে বিএনপি।
Comments