রটেন টম্যাটোসের জরিপে শতভাগ ভালোর খেতাব পেলো ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’
‘ব্লাক পেন্থার’-এর অফিসিয়াল ট্রেইলার
চলচ্চিত্র বিশ্লেষণ সংস্থা রটেন টম্যাটোসের জরিপে পরিচালক রিয়ান কুগলারের সুপারহিরো-ভিত্তিক ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ পেয়েছে শতভাগ ভালোর খ্যাতি। গত বছর অ্যানিমেটেড কমেডি মুভি ‘প্যাডিংটন টু’-ও এই খেতাব অর্জন করেছিলো।
খ্যাতনামা চলচ্চিত্র সমালোচকদের মতে, মার্ভেল কমিকসের এই চরিত্রটি একই শিরোনামে বড় পর্দায় এসে রোমাঞ্চকর অনুভূতির এক নতুন উচ্চতা সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, গল্পের কিছু চরিত্রকে পুষ্টতা দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
এই ডিজনি মুভিটি ডলবি থিয়েটারে গত ২৯ জানুয়ারি মুক্তি পেলেও যুক্তরাস্ট্রে মুক্তি পাবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। শাদভিক বোজম্যান, মাইকেল বি জর্ডান, লুপিতা নাইয়ং, দানাই গুরিরা অভিনীত এই চলচ্চিত্র সম্পর্কে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ছবিটি “বিস্ময় জাগিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে চমৎকার অনুভূতি ও বিচক্ষণতা।”
এন্টারটেনমেন্ট উইলির মতে, এই চলচ্চিত্রটি “খুব সূক্ষ্মভাবে গর্ব, আত্মপরিচয় এবং ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার জয়গান গেয়েছে।”
‘ব্ল্যাক প্যান্থার’-কে মার্ভেল মুভিগুলোর মধ্যে সেরা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইন্ডিওয়ার। বিজনেস ইনসাইডারের মতে, গত বছরের ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’-এর মতো এ বছর একটি ভালো ছবি পেলেন দর্শকরা। আর সেটি হলো, ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’। এমন ছবিটির জন্য বহু দশক অপেক্ষা করে থাকতে হয় বলে মন্তব্য করেছে পত্রিকাটি।
ইউএস টুডে বলেছে, বহু বছরের উপনিবেশের ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে। আফ্রিকার বিচ্ছিন্নতার কারণগুলো এমন এক সময় খোঁজা হলো যখন সেখানকার দেশগুলো নিজেদের মধ্যে বিভেদের দেয়াল ভাঙ্গার পরিবর্তে তা গড়ে তুলতে ব্যস্ত রয়েছে।
ডেইলি বিস্ট লিখেছে, “কালো মানুষদের জন্যে এটি একটি প্রেমপত্র”। রটেন টম্যাটোসের অভিমত, “বৈচিত্র্যের প্রতি দীর্ঘদিনের যে অবজ্ঞা তা যেন শোধরানো হলো।”
উল্লেখ্য, ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ চলচ্চিত্রটিতে অ্যাডভেঞ্চারের পাশাপাশি আফ্রিকার গৌরবকেও তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে, রটেন টম্যাটোসের জরিপে শতভাগ ভালো খেতার পেয়েছে এমন তালিকায় প্রথম সারির দশটি চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে: ‘সিটিজেন কেন’ (১৯৪১), ‘দ্য কেবিনেট অব ডক্টর ক্যালিগ্যারি’ (১৯২০), ‘অল অ্যাবাউট ইভ’ (১৯৫০), ‘মর্ডান টাইমস’ (১৯৩৬), ‘সিংগিং ইন দ্য রেইন’ (১৯৫২), ‘লরা’ (১৯৪৪), ‘নর্থ বাই নর্থওয়েস্ট’ (১৯৫৯), ‘দ্য মাল্টিজ ফ্যালকন’ (১৯৪১), ‘রিপালসন’ (১৯৬৫) এবং ‘রাশোমন’ (১৯৫১)।
Comments