প্রত্যাবর্তনে ক্যারিয়ার সেরা রাজ্জাক
জাতীয় দলে যখন নিয়মিত ছিলেন আব্দুর রাজ্জাকের কার্যকারিতা বেশি ছিল রঙিন পোশাকেই। ওয়ানডেতে এখনো দেশের সেরা তিন উইকেট শিকারের একজন রাজ্জাক। যথেষ্ট কার্যকর ছিলেন টি-টোয়েন্টিতেও। তবে টেস্টে কখনো সেভাবে মুন্সিয়ানা দেখাতে না পারায় এর আগে খেলেছেন কেবল ১২টি টেস্ট। চার বছর পর দলে ফিরে ১৩তম টেস্টে নেমেই করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই বাজিমাত রাজ্জাকের। ৬৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের ২২২ রানে ধসিয়ে দেওয়ার নায়কও তিনি। টেস্টে এর আগে কখনো চার উইকেট পাওয়া হয়নি রাজ্জাকের।
মিরপুরের উইকেট ছিল টার্নিং, স্পিনাররা পাচ্ছিলেন বাড়তি বাউন্সও। প্রথম সেশনেই কোন কোন বল ঘুরল লাটিমের মতো। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে শুরু থেকেই বিপদজনক রাজ্জাকের বাঁহাতি স্পিন। দিনের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে সাফল্য পেতে দেরি হয়নি। ১৪ রানেই দিমুথ করুনারত্নকে ফিরিয়ে শুরু। তার বলে বেরিয়ে আসতে গিয়ে লাইন মিস করেছেন লঙ্কান ওপেনার।
পাঁচ ওভারের ছোট স্পেলের পর লাঞ্চের আগে আসেন দ্বিতীয় স্পেলে। এসেই পর পর দুই বলে দানুশকা গুনাথিলেকা আর দিনেশ চান্দিমালকে আউট করে দেন রাজ্জাক। রাজ্জাককে এগিয়ে এসে পেটাতে গিয়ে মিড অফে মুশফিকের দারুণ ক্যাচে ফিরে যান গুনাথিলেকা। পরের বলেই স্পিনারদের জন্য স্বপ্নের এক ডেলিভারিতে কাবু করেন লঙ্কান অধিনায়ক চান্দিমালকে। রাজ্জাকের ভেতরে ঢুকা বলের তাল পাননি চান্দিমাল, ভেঙে যায় তার স্টাম্প।
হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করা রাজ্জাক পরে নিয়েছেন দিনের সবচেয়ে বড় উইকেট। লঙ্কানদের ব্যাটিং ধসের দিনে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে রান পাচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। লাঞ্চের পর এসেই তাকে বোল্ড করে দেন রাজ্জাক। প্রথমবার ৫ উইকেট না পেলেও প্রথম ইনিংসে রাজ্জাকই দলের সেরা বোলার।
Comments