‘পাল্লাটা এখনো সমানে সমান’

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনেই দুদলের পড়েছে ১৪ উইকেট। শ্রীলঙ্কাকে ২২২ রানে গুটিয়ে দিয়েও পঞ্চাশের আগে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাটিং অস্বস্তির পরও শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবীরা মনে করছেন লড়াইয়ে কেউ এখনো এগিয়ে নেই।
দিন শেষ করে ফিরছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনেই দুদলের পড়েছে ১৪ উইকেট। শ্রীলঙ্কাকে ২২২ রানে গুটিয়ে দিয়েও পঞ্চাশের আগে  ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাটিং অস্বস্তির পরও শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবীরা মনে করছেন লড়াইয়ে কেউ এখনো এগিয়ে নেই।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সকালে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় শ্রীলঙ্কা। আব্দুর রাজ্জাক, তাইজুল ইসলাম আর মোস্তাফিজুর রহমানের তোপে আড়াই সেশনে ২২২ রানেই শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৫৬ রান তুলে। প্রথম দিন শেষে তবে কে এগিয়ে,

 ‘এটা ভালো প্রশ্ন। আমার মনে হয় খেলায় এখনো ভারসাম্য আছে। আমাদের আরও ছয়টা উইকেট নিতে হবে। তারপর আরেকটা ইনিংস ব্যাট করতে হবে। আমরা ৩০ রানের মতো কম করেছি। এমনিতে ঢাকার উইকেটে ২৪০, ২৫০ খুব ভালো স্কোর। কিন্তু দিনশেষে আমরা চার উইকেট নিতে পেরেছি। সবাই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।’

চট্টগ্রামের ব্যাটিং স্বর্গে পাঁচদিনেও শেষ হতে পারে দুদলের তিন ইনিংস। অমন একপেশে পিচে খেলার বিরক্তি বারবার জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ঢাকার পিচে একদিনেই পড়েছে ১৪ উইকেট। সামারাবীরার মতে, এমন পিচই টেস্টে দরকার,

‘এটা ঢাকার পিচ। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর আমরা একই পিচে খেলছি। খেলার মতো না বলা যায় না। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে এখানে পুরোই আলাদা। টেস্ট ক্রিকেট মরে যাচ্ছি তাই ফলাফল আসে এমন পিচ দরকার। আমি খুশি এই পিচ পেয়ে।’

ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে এই পিচে নাকানিচুবানি খাওয়ানো গেলেও উপমহাদেশের দল শ্রীলঙ্কাও যে স্পিনের মাস্টার। এই পিচে কে এগিয়ে তা জানতে দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুই ঘণ্টার উপর ছেড়ে দিলেন সামারাবীরা,

‘মিরপুর শ্রীলঙ্কার জন্য গলের মতো। আবার বাংলাদেশ এখানে ডমিনেট করে। কে ফেভারিট বলা কঠিনই। কালকের প্রথম দুই ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago