‘কাণ্ডজ্ঞান বলে, এই উইকেটে তিনশো করে জেতা সম্ভব না’

কঠিন পিচেও দুই ইনিংসে ফিফটা পাওয়া রোশেন সিলভা গড়ে দিচ্ছেন ব্যবধান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টেস্টের একদম প্রথম সেশন থেকেই বল ঘুরছে লাটিমের মতো, বাড়তি বাউন্স পাচ্ছেন স্পিনাররা। এমন পিচে লিডটা তিনশোর বেশি নিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ বলছে তিনশো তাড়া করেও জেতার আত্মবিশ্বাস আছে ব্যাটসম্যানদের। এই পিচেও দুই ইনিংসে ফিফটি পাওয়া রোশেন সিলভা বলছেন ক্রিকেটীয় কাণ্ডজ্ঞানে এত রান করে জেতা অসম্ভব।

টস জিতে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে ২২২ রানে। কুশল মেন্ডিসের ৬৮ রানের পর দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে রোশেনের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের মূল প্রাণশক্তি তিনিই। দ্বিতীয় দিন শেষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৮ রান করে অপরাজিত আছেন। উইকেটের মতিগতি বেশ ভালো জানা আছে তার। দিনশেষে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বললেন, ‘আমার মনে হয় না এই উইকেটে তিনশো করা (জেতা)সম্ভব। এটা কাণ্ডজ্ঞানের বিষয় কিন্তু ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। আমরা তাদের ১০০ (আসলে ১১০) রানে গুটিয়ে দিয়েছি। চেয়েছি তিনশো রানের বেশি লিড রাখতে, সেটা হয়ে গেছে। কাল সকালে চাইব লক্ষ্যটা আরও বেশি দূর নিয়ে যেতে।’  

লক্ষ্যটা এরমধ্যে বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার  বাইরে নিয়ে গেছেন। নিজেদের স্পিন শক্তি মনে করিয়ে দিয়ে ম্যাচের নিজেদের প্রাধান্যের ছবি তোলে ধরলেন রোশেন,  ‘আমার মনে হয় এটা (লিড) পর্যাপ্ত। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও জানে উইকেট কতটা কঠিন। আমাদের অভিজ্ঞ স্পিন আক্রমণ আছে। তাদের স্পিনাররাও ভাল। তবে আমাদের হেরাথের চারশর বেশি টেস্ট উইকেট আছে, প্রথম শ্রেণিতে দিলরুয়ানের সাতশোর বেশি উইকেট আছে। ম্যাচ জেতার জন্য আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি।’

ঘরের মাঠে ভালো খেলতে থাকা বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজেও চেপে ধরেছে শ্রীলঙ্কা। গত ডিসেম্বরে  দিল্লিতে অভিষেকে ৭৪ রান করেছিলেন। বাংলাদেশে এসে খেলা তিন ইনিংসেই পেরিয়েছেন ফিফটির কোটা। চট্টগ্রামে তো পেয়েছেন সেঞ্চুরিও। এমন সাফল্যের পেছনের কারণ বললেন রোশেন, ‘উপমহাদেশে খেলার জন্য স্পিনার আর রিভার্স স্যুয়িং খেলতে প্রস্তুত ছিলাম। এখানে আসার আগে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমরা জানতাম কী ধরনের কন্ডিশন আর বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি। মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম যে ঘরোয়াতে যত রানই করি না কেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওটা হেল্প করবে না।’

Comments

The Daily Star  | English

Muslim pilgrims pray at Mount Arafat in hajj apex

Thousands of pilgrims began to gather before dawn around the hill and the surrounding plain

2h ago