ব্যাটসম্যান আর স্পিনারদের উপর বিশ্বাস থেকেই অমন উইকেট
চট্টগ্রাম টেস্টে ভালো খেলা ব্যাটসম্যানদের উপর বিশ্বাস ছিল দলের, আস্থা ছিল স্পিনারদের উপরও। মিরপুরে তাই হোম টিমের চাওয়ায় বানানো হয় টার্নিং উইকেট। স্পিনাররা নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেও দশের মধ্যে শূন্য পেয়েছেন ব্যাটসম্যানরা।
দ্বি-পাক্ষিক সিরিজগুলোতে সাধারণত ঘরের দলের চাওয়া মতো তৈরি হয় উইকেট। চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র করার পর ঢাকায় ফিরে ‘ফলাফল আসে’ এমন পিচের সাহস নেয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার মূল শক্তিও স্পিন, তবু নিজ দলের ব্যাটসম্যান আর স্পিনারদের উপর বিশ্বাস ছিল দলের। জানালেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ,
‘আবারও একই কথা বলছি, চিটাগাং থেকে যে আত্মবিশ্বাস থেকে এসেছিলাম, ব্যাটসম্যানদের ওপর ভরসা করে। সেজন্যই আমরা এই উইকেট বানিয়েছি। আমাদের স্পিন অ্যাটাকও ভালো ছিল। অন্তত আপনার সুযোগ তো থাকবে জিততে পারেন বা হারতে পারেন।’
টস জিতে আগে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কাকে ২২২ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক, তাইজুল ইসলামরা। ব্যাটসম্যানরা নেমে রাখতে পারেননি বোলারদের মুন্সিয়ানার দাম। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও বোলাররা নিজেদের কাজটা করে দেখিয়েছেন। আবার লঙ্কানদের ২২৬ রানে বেধে রেখেছিলেন। তবে প্রথম ইনিংসের ভরাডুবিতে এরপরও লক্ষ্যটা হয়ে যায় ৩৩৯ রান। তাতে খেই হারিয়ে ডুবেছে দল। মাহমুদউল্লাহর মতে সামর্থ্য ঠিকই ছিল কিন্ত মাঠে সেটা তারা করে দেখাতে পারেননি,
‘আমার বিশ্বাস আমাদের সামর্থ্য আছে, শো করতে পারিনি। স্কিলটা দেখাতে পারিনি।’
‘জানতাম আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং হবে কিন্তু আমরা আমাদের ব্যাটসম্যানদের উপর ভরসা রেখেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ব্যাটসম্যানরা ভালো পারফর্ম করতে পারেনি।’
Comments