‘সৌদি নারীদের লম্বা-ঢিলে জামা পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই’

saudi women
১৩ জানুয়ারি ২০১৮, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে আল হেলাল ও আল ইত্তোহাদ ক্লাবের মধ্যে ফুটবল খেলা দেখতে যাচ্ছেন নারীরা। ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের নারীদের লম্বা-ঢিলে জামা পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা।

এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে প্রভাবশালী কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস-এর একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য শেখ আব্দুল্লাহ আল মুতলাগ বলেন, মুসলিম নারীদের মার্জিত পোশাক পড়া উচিত। তবে, ধর্মীয় অনুশাসন মনে করে লম্বা-ঢিলে পোশাক পড়ার প্রয়োজন নেই।

গত শুক্রবার শেখ মুতলাগ বলেন, “সারা বিশ্বের ৯০ ভাগেরও বেশি ধার্মিক মুসলিম নারী আবায়া বা লম্বা-ঢিলে কাপড় পড়েন না। তাই, আমরা কাউকে আবায়া পড়ার বিষয়ে জোর করতে পারি না।”

যদিও সৌদি আরবে এ সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের কোন ইঙ্গিত এই ধর্মীয় নেতার কথা থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না, তবুও বলা যায়, দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতার মুখে এমন কথা এই প্রথম শোনা গেলো।

মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি রাজ ক্ষমতার উত্তরাধিকারী হওয়ার পর থেকে দেশটিকে কট্টর ধর্মীয়ধারা থেকে বের করে আধুনিকায়নের পথে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন সংস্কারকর্ম হাতে নেওয়া হয়েছে। তাই নারীদের পোশাক নিয়ে এমন মন্তব্যকে সেই সংস্কারের অংশ হিসেবে ধরা যেতে পারে।

সৌদি আরবে ধর্মীয় বিষয়ে মতামত বা ফতোয়া দেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র রয়েছে কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকার মনোনীত ধর্মীয় নেতাদের। তাঁদের ধর্মীয় ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করেই দেশটি আইন প্রণয়ন করে থাকে।

গত কয়েক বছর থেকে সৌদি নারীদের অনেককে ঐতিহ্যবাহী কালো পোশাকের পাশাপাশি রঙিন, হাল্কা নীল ও গোলাপি রঙের পোশাক পড়তে দেখা যাচ্ছে। দেশটির কোথাও কোথাও নারীদের লম্বা স্কার্ট বা জিন্সের ওপর খোলা আবায়াও পড়তে দেখা যাচ্ছে।

দেশটিকে প্রগতিশীল ধারায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার সম্প্রতি নারীদের স্টেডিয়ামে গিয়ে সবার সঙ্গে খেলা দেখার এবং তাদেরকে গাড়ি চালাতে দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এসব পরিবর্তের পরও মানবাধিকার কর্মীরা নারীদের একা ভ্রমণের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করে আসছে।

Comments

The Daily Star  | English
Chattogram port Imports

Reducing penalty on false declarations will encourage smuggling: experts

In the Finance Ordinance 2025–26, presented on Monday, the government proposed amending the Customs Act 2023 and revising the penalty structure for tax evasion related to intentional false declarations during import clearance, reducing the minimum fine from twice the evaded amount to an equivale

1h ago