‘টাইটানিক’-এ কেনো লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে মরতে হয়েছিলো?

সুপার ব্লকবাস্টার ‘টাইটানিক’-এ কেনো এর নায়ক লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে মরতে হয়েছিলো? ছবিটি মুক্তির বিশ বছর পর আবারো জেগেছে সেই প্রশ্ন।
Titanic
‘টাইটানিক’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট। ছবি: সংগৃহীত

সুপার ব্লকবাস্টার ‘টাইটানিক’-এ কেনো এর নায়ক লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে মরতে হয়েছিলো? ছবিটি মুক্তির বিশ বছর পর আবারো জেগেছে সেই প্রশ্ন।

পরিচালক জেমস ক্যামেরনের ইতিহাস-আশ্রিত এই ছবিটিতে নায়ক জ্যাক-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ডিক্যাপ্রিও আর নায়িকা রোজ-এর চরিত্রে ছিলেন কেট উইন্সলেট। ছবিটির শেষ দৃশ্যে মরতে হয়েছিলো জ্যাককে। যদিও তাঁকে বাঁচিয়ে রাখা যেত বলে অনেকের অভিমত।

টাইটানিক ডোবার সময় রোজকে জাহাজের একটি ভাঙ্গা দরজা ধরে আটলান্টিকের হিম-শীতল পানিতে ভাসতে দেখা যায়। সেই ধ্বংসাবশেষ ধরে জ্যাকও বেঁচে যেতে পারতেন। কিন্তু, পরিচালকের ইচ্ছা ভিন্ন। তাই, বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও মরতে হয়েছিলো নায়ককে।

ছবিটিতে রোজের বাগদত্তা হিসেবে খলচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিলি জ্যানি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এমনটিই তো হওয়ার কথা।” অর্থাৎ জ্যাককে তো মরতেই হবে!

রোজ যে ভাঙ্গা দরজায় চড়ে আটলান্টিকে ভাসছিলেন সেখানে যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও জ্যাককে কেনো রোজ জায়গা দেননি এমন প্রশ্নের জবাবে বিলি পিপল ম্যাগাজিনকে বলেন, “আপনাদের হিরোকে তো মরতেই হবে। আমি জানি না কেনো এমনটি করা হয়েছে। তবে এমনটিই তো হওয়ার কথা। কেননা, এর মাধ্যমেই গল্পটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।”

এর আগে, নির্মাতা ক্যামেরনকেও এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো চিত্রনাট্যের ১৪৭ পৃষ্ঠায় এমনটিই রয়েছে। সোজা কথা, গল্পের খাতিরেই এটি করা হয়েছে।”

ক্যামেরন এই ঘটনাটিকে ‘তুচ্ছ’ হিসেবে অভিহিত করলেও তিনি মনে করেন বিষয়টি নিয়ে যেহেতু এখনো আলোচনা চলছে তাহলে বুঝতে হবে দর্শকদের মনে জ্যাক বেশ জায়গা করে নিয়েছে।

এদিকে, রোজ চরিত্রে অভিনয় করা কেট উইন্সলেট সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, “সেদিন চিত্রনাট্য অনুযায়ী আমি তাকে বলেছিলাম, ‘জ্যাক, আমি তোমাকে হারিয়ে যেতে দিব না’। আসলে আমি মিথ্যা বলেছিলাম।”

Comments

The Daily Star  | English
Dengue deaths in Bangladesh 2024

4 more die of dengue

660 patients were also hospitalised during this time

1h ago