ঢাকা-লন্ডন রুটে কার্গো নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো যুক্তরাজ্য

cargo ban
ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালের হাতে কার্গো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সনদ হস্তান্তর করছেন। ছবি: রাশেদুল হাসান

যুক্তরাজ্য সরকার ঢাকা-লন্ডন রুটে সরাসরি এয়ার কার্গো নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দুই বছর আগে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো দেশটির কর্তৃপক্ষ।

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।

অ্যালিসন ব্লেক সাংবাদিকদের বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে সরাসরি পণ্যবাহী উড়োজাহাজ চলাচলের ওপর যে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা ছিলো তা তুলে নেওয়া হয়েছে।”

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে দেশ দুটির যৌথ সমীক্ষার পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তবে আজ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়া অন্য সংস্থাগুলো ঢাকা থেকে লন্ডনে সরাসরি পণ্যবাহী উড়োজাহাজ চালাতে পারবে। তবে এ জন্যে বিমানকে নিরাপত্তা সনদ সংগ্রহ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী এএম মোসাদ্দেক আহমেদ বলেন, বিমানকে এই সনদ পেতে ১৫ থেকে ২০ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

২০১৬ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাজ্য সরকার শাহজালাল বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিকমানের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে এমন অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এরপর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শাহজালাল বিমানবন্দরকে ‘রেড জোন’ হিসেবে উল্লেখ করে। ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশ মোট ৫৪ শতাংশ পণ্য রপ্তানি করে থাকে। এই নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াও যোগ দেয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ক্যাব) আশা করছে যে ইইউসহ অন্যান্য দেশগুলোও যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করবে।

নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশ থেকে ইইউ-গামী উড়োজাহাজের পণ্যগুলো দুবাই, কাতার, থাইল্যান্ড অথবা ভারতে পুনঃপরীক্ষা করা হতো। এর ফলে, বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণের রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়েছিলো।

এই নিষেধাজ্ঞার কারণে গত বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে বিমান সূত্র থেকে জানা যায়। এই এয়ারলাইনসটিই ঢাকা-লন্ডন রুটে সরাসরি পণ্যবাহী উড়োজাহাজ পরিচালনা করতো।

Comments

The Daily Star  | English

Committee of 3 advisers formed to probe Abdul Hamid's departure

Led by CR Abrar, Syeda Rizwana Hasan, and Brig Gen (retd) M Sakhawat Hossain are part of the committee

48m ago