বেইজিংয়ের সাথে ঢাকার সুসম্পর্ক

নয়া দিল্লির উদ্বেগের কোনো কারণ নেই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বেইজিংয়ের সাথে ঢাকার ক্রমবর্ধমান সুসম্পর্ক নিয়ে নয়া দিল্লির উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে চীনের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জন্য তার সরকার যেকোনো দেশের সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী জনসংখ্যা ও অর্থনীতির আকার বিবেচনায় স্বল্পোন্নত দশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে বড়। গত বছর জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয় স্বাস্থ্য, শিক্ষায় অগ্রগতি অর্জন ও দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভারতের সফররত একদল সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিনিয়োগ ও সহযোগিতা চাই, সেটা যেই করুক না কেন। আমরা দেশের উন্নয়ন চাই… জনগণ যেহেতু উন্নয়নের সুফল পায় তাই তাদের কথা আমাদেরকে ভাবতেই হবে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান যে ভারত, চীন, জাপান এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের কাছে আসছে।

“এতে ভারতের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বরং ভারতকে এটাই পরামর্শ দিব তারা যেন উত্তরোত্তর আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে যেন বিশ্ববাসীকে দেখাতে পারি যে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।

সমুদ্রসীমা ও স্থল সীমান্তের মতো বিরোধ নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশ ও ভারত সুসম্পর্কের নজির তৈরি করেছে বলেও উল্লেখ করেন হাসিনা। “কোনো সমস্যা থাকলে, অতীতের মতই আলোচনার মাধ্যমে আমরা সেটা সমাধান করতে পারি। আমরা শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে চাই।”

তিনি বলেন, ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত তার সরকার ক্ষমতায় থকার সময় গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুদেশ। এর পরেরবার সমুদ্রসীমা ও সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Fund crunch hits Rohingyas hard

A humanitarian crisis in Cox’s Bazar Rohingya camps is brewing in the face of funding shortage for the refugees and more arrivals from the conflict-ridden Rakhine state of Myanmar.

10h ago