সীমান্তে বেড়া নির্মাণে মিয়ানমারের পার্লামেন্টে ১৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ

​রাখাইন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণের জন্য মিয়ানমারের পার্লামেন্ট ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে। এই অর্থ দিয়ে বেড়ার পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারির জন্য বিভিন্ন ধরনের স্থাপনাও নির্মাণ করা হবে।
Myanmar Rohingya Refugee Crisis
কক্সবাজারের পালংখালী শরণার্থী শিবিরে পানি সংগ্রহে ব্যস্ত এক রোহিঙ্গা কিশোর। ছবি: রয়টার্স

রাখাইন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণের জন্য মিয়ানমারের পার্লামেন্ট ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে। এই অর্থ দিয়ে বেড়ার পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারির জন্য বিভিন্ন ধরনের স্থাপনাও নির্মাণ করা হবে।

দেশটির আইন প্রণেতাদের মধ্যে একজন মো জাও অং শুক্রবার বার্তা সংস্থা এপি’কে বলেছেন, মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বেড়া তৈরির জন্য পার্লামেন্টে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, এই সবগুলো মন্ত্রণালয়ই সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে।

মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জেনারেল অং সোয়ে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে অর্থ বরাদ্দের কথা নিশ্চিত করে বলেন, ২৯৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ইতিমধ্যে ২০০২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বেড়া তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।

স্থানীয় বৌদ্ধ দাতারাও সেনাবাহিনীকে তহবিল সরবরাহ করছে। সীমান্তে বেড়া তৈরির জন্য গত অক্টোবর মাসে তারা পাঁচ মিলিয়ন ডলার সেনাবাহিনীকে দিয়েছে।

গত বছরের আগস্ট থেকে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এর আগেও নিপীড়নের মুখে মোট প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময় শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে এসেছে।

মিয়ানমারের রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০টি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর নির্বিচার নিধনযজ্ঞ শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার পর এখন সেগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে এসবের প্রমাণ পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। দেশটির সেনাবাহিনীকে “জাতিগত নিধন” চালানোর জন্যও অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।

রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদের জন্য স্থানীয় সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রতি ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, রোহিঙ্গাদের প্রতি সংখ্যাগুরুদের ঘৃণা-ভয়ের কারণে গণহারে নির্যাতন করা সম্ভব হয়েছে। রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো সহানুভূতিও নেই। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে এই জনগোষ্ঠীটি ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়ে এসেছে।

Comments

The Daily Star  | English

A loud scream, followed by complete silence

The teep was still visible on Labib's head. His innocent life was lost over a trivial matter

1h ago