এহসান নির্যাতনের ঘটনায় ঢাবি থেকে ছাত্রলীগের ৭ জন বহিষ্কার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এহসান রফিক
নিজের ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন এহসান রফিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলে এহসান রফিক নামের এক ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের সাত জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি হলের ভেতরেই এহসানের ওপর দুই দফায় অমানবিক নির্যাতন চালায় ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা। নির্যাতনের ঘটনাটি ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নিন্দার ঝড় ওঠে।  এ ঘটনায় হল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে।

সাজা পাওয়া সাত জনের মধ্যে দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও হল শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ওমর ফারুকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়াও সলিম্মুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের আর যে ছয়জন বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সাজা পেয়েছে তারা হলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট আরিফুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ব্যাপারী ও ফারদিন আহমেদ মুগ্ধ, উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান হিমেল, হল কমিটির সদস্য সামিউল ইসলাম সামি ও আহসান উল্লাহ। এদের মধ্যে রুহুল, ফারদিন, সামি, আহসাম ও হিমেলকে দুই বছরের জন্য ও আরিফুলকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে আওয়ামী লীগ সমর্থক ছাত্র সংগঠনটির এই নেতাকর্মীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের হল শাখার সহসম্পাদক ওমর ফারুককে ক্যালকুলেটর ধার দিয়েছিলেন এহসান। তিন মাসেও সেটি ফেরত না দেওয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে দুজনের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে রাত দুইটার দিকে এহসান হলের রিডিং রুম থেকে বিছানায় যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের হল শাখার সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম তাকে টেলিভিশন কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন নেতা মিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা নির্যাতন শেষে হল থেকে বের করে দেন। এ সময় ফটকের কাছে ওমর ফারুকের নেতৃত্বে তাকে আবারও মারধর করা হয়। এতে এহসানের একটি চোখ মারাত্মক জখম হয়। তার কপাল ও নাক ফেটে রক্ত বের হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Israel will take all of Gaza: PM

Strikes kill 52 more; WHO chief says 2 million 'starving'

7h ago