পাকিস্তানে প্রথম হিন্দু নারী সিনেটর নির্বাচিত

krisna kumari
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদ শহরে নিজ কার্যালয়ে কর্মরত কৃষ্ণা কুমারী। ছবি: এপি

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন হিন্দু নারী সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনে তালেবানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন একজন ব্যক্তি পরাজিত হয়েছেন।

তথাকথিত নিম্নবর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত কৃষ্ণা কুমারী পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দেশটিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

বার্তা সংস্থা এপিকে কৃষ্ণা বলেন, “আমি খুবই আনন্দিত। আমি সিনেটে যাচ্ছি তা ভাবতেও পারিনি।”

এই বিজয়ের পর তিনি তাঁর মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কেননা, তাঁদের সহযোগিতায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে পেরেছিলেন। পিপিপিতে যোগ দেওয়ার আগে কৃষ্ণা একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। এই দলের সমর্থনে তিনি সিন্ধু প্রদেশ থেকে সংরক্ষিত আসনে সিনেট নির্বাচনে অংশ নেন।

গতকাল (৩ মার্চ) ১০৪ সদস্যের সিনেটের অর্ধেক সদস্য ছয় বছরের জন্যে নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ (নওয়াজ) পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে নতুন করে ১৫ আসনে জিতেছে। সেখানে এখন দলটির মোট আসন ৩৩। সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারির পিপিপি উচ্চকক্ষে দ্বিতীয় এবং সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের তেহরিক ই ইনসাফ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তান থেকে অধিকাংশ হিন্দু ভারতে চলে আসেন। তবে যারা সেখানে রয়ে গিয়েছেন তাদেরকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। দেশটির অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মতোও হিন্দুরাও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর হাতে নির্যাতিত।

সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হওয়া পর কৃষ্ণা নির্যাতিত মানুষদের অধিকার আদায়ের লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন। এছাড়াও, নারীর ক্ষমতায়ন, তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়েও কাজ করতে চান সিনেটর কৃষ্ণা কুমারী।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

1h ago