শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ ওভারে জিতল প্রাইম ব্যাংক

ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল প্রাইম ব্যাংকের। হাতে কেবল ৩ উইকেট। প্রথম বলেই উইকেট নিলেন বোলার মামুন হোসেন। পরের বলে সাজেদুল হকের ছক্কা। পরের বলে আবার উইকেট মামুনের। পরের তিন বলে ২, নো বলসহ ছক্কা আর আরেক নো বলে ম্যাচ শেষ। ১ উইকেটে শ্বাসরুদ্ধকর জয় প্রাইম ব্যাংকের।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল প্রাইম ব্যাংকের। হাতে কেবল ৩ উইকেট। প্রথম বলেই উইকেট নিলেন বোলার মামুন হোসেন। পরের বলে সাজেদুল হকের ছক্কা। পরের বলে আবার উইকেট মামুনের। পরের তিন বলে ২, নো বলসহ ছক্কা আর আরেক নো বলে ম্যাচ শেষ। ১ উইকেটে শ্বাসরুদ্ধকর  জয় প্রাইম ব্যাংকের।

বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে প্রাইম দোলেশ্বর ও প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচে পরতে পরতে ছড়ালো উত্তেজনা। শেষ ওভার পর্যন্ত তা চলল। আগে ব্যাট করা দোলেশ্বরের করা ২৮৬ রান ২ বল বাকি থাকতে টপকেছে প্রাইম ব্যাংক।

সকালে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রাইম দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। জাতীয় দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা চলে যাওয়ায় দোলেশ্বরের টপ অর্ডার ছিল দুর্বল। ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে নামেন আনকোরা মোহাম্মদ আরাফাত। জমেনি ওপেনিং জুটি। তবে মিডল অর্ডারে ফজলে মাহমুদ, মার্শাল আইয়ুব আর ফরহাদ হোসেনের ব্যাট এনে দেয় স্বস্তি। সবচেয়ে অগ্রণী মার্শাল। ১২৮ বলে ১৪ চার আর দুই ছক্কা মার্শাল খেলেন ১৩৫ রানের দারুণ ইনিংস। মাহমুদ ৪৫ আর ফরহাদ করেন ৬৭। ২৮৬ রানের বড় পূঁজিই পায় দোলেশ্বর। প্রাইম ব্যাংকের কোন বোলারই একটির বেশি উইকেট পাননি।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় যেমনটি দরকার ঠিক তেমন শুরু এনে দেন প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ আর মেহরাব হোসেন জুনিয়র। ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই ম্যাচ জেতার সুর বেধে দেন এই দুজন। তবে ওপেনিং জুটি ভাঙার পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে প্রাইম ব্যাংক।  ১৪৭ থেকে ১৮৯ রানে যেতে পড়ে ৫ উইকেট। এসবের মাঝে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে যান সাজেদুল হক। ৩৮ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংসে শেষের নায়ক তিনি। শেষ ওভারে দলকে জেতার কাছে নিয়ে আউট হন তিনি।  পরে ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান শরিফুল ইসলাম হাঁকান ম্যাচ জয়ী ছক্কা। দোলেশ্বরের মামুন , আরাফাত সানি আর শরিফুল্লাহ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

 

Comments