কিমের সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল (৮ মার্চ) জানান, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এর সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেশটির পরমাণু অস্ত্রের বাস্তবতা তুলে ধরা এবং যত দ্রুত সম্ভব দেশটির ওপর চলমান অর্থনৈতিক অবরোধ প্রশমিত করা। এ কারণে শীঘ্রই ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী উত্তর কোরিয়ার নেতা।
বেইজিংয়ের কারনেজি-সিনহুয়া সেন্টারের উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ ঝাও টং বলেন, “এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে কোনো শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। ইতোমধ্যে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র বানানোর ক্ষমতা অর্জন করায় এটি একটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চায়।”
যদিও এখনো বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু ঠিক করা হয়নি তবুও এর ফলে উত্তর কোরিয়ার প্রাথমিক লক্ষ্য সাধিত হয়েছে বলে মনে করেন ঝাও টং।
দেশ দুটির মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী উইলিয়াম পেরি। তিনি মনে করেন, “একে অপরের প্রতি হুমকি দেওয়ার যে কুট-কৌশল চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা বেশ কাজে এসেছে।”
তিনি বলেন, “এখন দুটি বিষয় জানার রয়েছে। একটি হলো: কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। অর্থাৎ, উত্তর কোরিয়ার কাছে থেকে যুক্তরাষ্ট্র কী পাবে বলে আশা করে, অথবা উত্তর কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র কী দিতে পারবে বলে মনে করে।”
“দ্বিতীয়টি হচ্ছে: আলোচনার আগে দেশ দুটি কী করতে পারে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা উত্তর কোরিয়াকে যে চাপে রেখেছে তা অব্যাহত রাখবে কী না। আর উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ও মিসাইল তৈরি চালিয়ে যাবে কী না।”
উইলিয়াম পেরির মতে “যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা থেকে যা বোঝা যাচ্ছে তা হলো তারা চায় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করে একে একটি পরমাণু বোমামুক্ত দেশে ফিরিয়ে আনা। উত্তর কোরিয়া তা করতে রাজি হবে কী না সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আর যদি বা রাজি হয় তাহলে সেই চুক্তি যে বাস্তবায়িত হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করার পথ কতোটা খোলা রয়েছে?”
Comments