বিপর্যয় কাটিয়ে বাংলাদেশকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দিল শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। তবে কুশল পেরেরা আর থিসারা পেরেরা মিলে টেনে তুললেন স্বাগতিকদের। এই দুজনের ফিফটিতে ২০ ওভারে ১৫৯ উইকেটে রান করেছে শ্রীলঙ্কা। কিছুটা মন্থর পিচে এই পুঁজিই লড়াই করার জন্য যথেষ্ট।
দলকে অক্সিজেন জুগিয়ে ৩৯ বলে ৬১ রান করেন পেরেরা।অধিনায়ক থিসিরার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৫৮ রানের কার্যকর ইনিংস। অথচ এই দুজনের ব্যাটিংয়ের আগে রীতিমতো ধংস্বস্তুপ ছিল লঙ্কানদের ইনিংস।
৪৭ দিন পর দলে ফিরেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টস জিতে নিজেই প্রথম বলটা হাতে নিলেন। প্রথম উইকেটটাও তার পকেটে গেল। সেই শুরু। শরীরী ভাষায় বদলে যাওয়া বাংলাদেশ সঙ্গে সঙ্গে তেতে উঠল। পাওয়ের প্লেয়ের প্রথম ৬ ওভারে ৩৫ রানের মধ্যেই লঙ্কানদের চার উইকেট তোলে টগবগিয়ে ফুটল টাইগাররা।
এই টুর্নামেন্টে এখনো নিজের সেরাটা খুঁজে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমান উঠলেন জেগে। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে নিলেন দুই উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচেই তিন ফিফটি করা কুশল মেন্ডিস, ঝড় তোলা দাসুন শানাকার উইকেট তোলার মাঝে তার ওভারেই রান আউট হয়ে ফিরলেন উপুল থারাঙ্গা।
আগের ম্যাচ মার খেলেও এই ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজও যেন পেলেন ছন্দ। তার বলে টাইমিংয়ে গড়বড় করে আউট হন জীবন মেন্ডিস। ৪১ রানের লঙ্কানদের অর্ধেক ব্যাটসম্যান নেই।
লঙ্কানদের আশা হয়ে টিকে ছিলেন কেবল কুশল পেরেরা। তার সঙ্গে যোগ দিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক থিসিরা পেরেরা। দুজনে মিলে উইকেট খানিকটা সময় কাটালেন। থিতু হয়ে খুললেন হাত। মোস্তাফিজের তিন নম্বর ওভার থেকে নেন ১৮ রান। ব্যাটল হারিয়ে বসা স্বাগতিকরা তখনই ফিরতে শুরু করে ম্যাচে। ৩২ বলে পঞ্চাশ করে ফেলেন কুশল পেরেরা।
বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুকে এক ওভারও বল করতে আনা হয়নি। প্রথম দুই ওভার দারুণ বল করেও ক্রিজে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দেখে আর বল করতে আসেননি সাকিব। মোস্তাফিজের শেষ ওভারেও ১৭ রান তুললেন থিসারা। ১৯তম ওভারে সৌম্য সরকারের বলে ফেরেন পেরেরা। তবে তার আগে ৩৯ বলে ৬১ রান। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ততক্ষণে হয়ে গেছে ৯৭ রান। ওই ওভারেই সৌম্যর বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন অধিনায়ক থিসারা। শেষ ওভারে থিসারা ফিরলেও সেমিফাইনাল মঞ্চটা জমে উঠার রসদ ঠিকই জড়ো হয়ে গেছে।
ফিরলেন অধিনায়ক সাকিব, বোলিংয়ে বাংলাদেশ
নিদহাস কাপের প্রথম তিন ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেমিফাইনালে পরিণত হওয়া ম্যাচে চোট কাটিয়ে ফেরা মূল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে পেল বাংলাদেশ। আবারও টস জিতল বাংলাদেশ। তাতে আবারও আগে বোলিং বেছে নিয়েছে টাইগাররা। দলে একটাই পরিবর্তন। সাকিবকে জায়গা দিতে বাদ গেছেন আবু হায়দার রনি।
আগের তিন ম্যাচেই একাদশে তিন পেসার নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। সাকিব ফেরায় এবার খেলানো হচ্ছে তিন স্পিনার। ভারতের বিপক্ষে খরুচে শেষ ওভার করা আবু হায়দার রনি এক ম্যাচ পরেই হারালেন জায়গা।
ফাইনালে উঠার দৌঁড়ে দুই দলই আছে সমান অবস্থায়। এই ম্যাচে যে জিতবে ১৮ মার্চ ফাইনালে তারাই প্রতিপক্ষ হবে ভারতের।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু।
Comments