শেষ ওভারের নাটকীয়তা নিয়ে যা যা বললেন সাকিব-তামিম

Bangladesh won
ছবি: এএফপি

ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলে নায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওদিকে ওই ছক্কার আগে শেষ ওভারে হয়ে গেল নো বল না দেওয়া নিয়ে নাটকীয়তা। এমনকি ম্যাচ ছেড়ে বের হয়েও আসতে চাইল বাংলাদেশ। কেন সেই পরিস্থিতি ম্যাচ শেষে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। 

শেষ ওভারে দরকার ১২ রান। কিন্তু মূল ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নন স্ট্রাইকে। ইশুরু উদানা বাউন্সারে মোস্তাফিজুর রহমানকে পরাস্ত করলেন। পরের বলে ফের বাউন্সার দিলে আবার পরাস্ত মোস্তাফিজ। তবু রান নিতে গিয়ে হলেন রান আউট।

ওদিকে দুই বাউন্সারে নো বলের আবেদন করে বাংলাদেশ।।কিন্তু মূল আম্পায়ার নো বল দিতে রাজী হননি। এই রায় মেনে না নিয়ে মাঠেই তর্কে জড়ান মাহমুদউল্লাহ। বাউন্ডারির লাইনের বাইরে অধিনায়ক সাকিব ক্ষ্যাপে গিয়ে ব্যাটসম্যানদের খেলা ছেড়ে বের হতে নির্দেশনা দেন। পরে অবশ্য সাকিবকে বুঝিয়ে ড্রেসিং রুমে পাঠানো হয়। শুরু হয় খেলা। যাতে চার-ছক্কায়  বাংলাদেশের জন্য যাদুময় মুহুর্ত তৈরি করে নায়ক বনে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 

উত্তেজিত ওই পরিস্থিতি নিয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল বললেন, ‘খুব আবেগী ফিনিশ। আমরা লেগ আম্পায়ারকে নো বল দিতে দেখলাম। আমরা নো বলের জন্য আবেদন করলাম। এটা আরও সুন্দরভাবে শেষ হতে পারত। আমরা এমন কোন ঘটনা তৈরি করতে চাইনি।’

থিসিরা পেরেরার সঙ্গে তর্কে জড়ান রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড় নুরুল হাসান সোহান। ছবি: এএফপি
পুরো ঘটনায় অধিনায়ক সাকিবকেই দেখা গেছে বেশি উত্তেজিত। তার উপলব্ধি আরও সতর্ক হতে পারতেন তিনি।

'আমরা মাঠের ভেতর সব সময় ভালো প্রতিযোগতা করি। কিন্তু বাইরে সবাই ভালো বন্ধু। অধিনায়ক হিসেবে আমার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। আমি আরও সতর্ক হবো।'

তবে এমন একটা ম্যাচের পর উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের রেশ নিয়েই বেশি বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রতিপক্ষকেও দিলেন কৃতিত্ব।

‘একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থেকে এরচেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না। কি দারুণ উত্তেজনা, আবেগ। শ্রীলঙ্কাকে কৃতিত্ব দিতে হয়। তারা দ্রুত ৫ উইকেট হারানোর পরও ফিরেছে। আমরা শেষ পর্যন্ত স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পেরেছি।’

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

1h ago