কারাভোগের ২৯ বছর পর রায়: আসামী নির্দোষ

গরু চোরাচালান মামলায় চূড়ান্ত রায়ের জন্য প্রায় তিন যুগের অপেক্ষার অবসান হয়েছে যশোরের দুজনের। এর মধ্যে তিন বছর জেল খাটতেও হয়েছে তাদের। ছাড়া পাওয়ার ২৯ বছর পর রায় এসেছে, আসামীরা নির্দোষ।
supreme court
সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

গরু চোরাচালান মামলায় চূড়ান্ত রায়ের জন্য প্রায় তিন যুগের অপেক্ষার অবসান হয়েছে যশোরের দুজনের। এর মধ্যে তিন বছর জেল খাটতেও হয়েছে তাদের। ছাড়া পাওয়ার ২৯ বছর পর রায় এসেছে, আসামীরা নির্দোষ।

মামলার নথি থেকে দেখা যায়, অবৈধভাবে ভারত থেকে ছয়টি গরু পাচার করে আনার অভিযোগে ১৯৮৬ সালে যশোরের শার্শা থানায় আব্দুল কাদের ও মফিজুর রহমানের নামে মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে মফিজুর রহমান ইতিমধ্যে মারা গেছেন।

তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) ল্যান্স নায়েক আমির আলী এই মামলাটি করেছিলেন।

মামলার বছরই যশোরের আদালত তিন বছরের সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠান। এর পরের বছর ১৯৮৭ সালে তারা সাজার বিরুদ্ধে যশোরে হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিল করেন। কিন্তু সে বছরই যশোরে হাইকোর্টের বেঞ্চ অবলুপ্ত হলে আপিল ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। এরই মধ্যে ১৯৮৯ সালে তারা সাজার মেয়াদ শেষে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।

এতদিন হিমাগারে থাকার পর সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের লিগাল এইড কমিটি শুনানির জন্য আপিলটি হাইকোর্টে উপস্থাপন করেন। গতকাল বিচারপতি রেজাউল হক আপিলের শুনানি করে আজ তাদের খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

সুপ্রিম কোর্ট লিগাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী এডভোকেট কুমার দেবুলদে আসামীদের পক্ষে শুনানি করেন। হাইকোর্টকে তিনি বলেন, কাদের ও মফিজুরের বিরুদ্ধে গরু চোরাচালানের অভিযোগ প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে তাই তাদের খালাস দেওয়া হোক।

ওই আইনজীবী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কারাগার থেকে বের হওয়ার ২৭ বছর পর প্রমাণিত হয়েছে তারা নির্দোষ ছিলেন।

আসামীরা আপিল নিষ্পত্তির ব্যাপারে তৎপর না থাকায় এই বিলম্ব হয়েছে বলেও তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English
Pro-Awami League journalist couple arrested

The indiscriminate arrests and murder charges

Reckless and unsubstantiated use of murder charges will only make a farce of the law, not bring justice to those who deserve it.

4h ago