ক্ষমা চাইলেন জাকারবার্গ

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য একটি রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যাওয়ার কথা স্বীকার করে এর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। তিনি বলেছেন, তাদের ভুলের কারণেই ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হয়েছে।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বেহাত হওয়া তথ্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে এমন অভিযোগ ওঠার চার দিন পর সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ ক্ষমা চাইলেন। ছবি: এপি

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য একটি রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যাওয়ার কথা স্বীকার করে এর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ।  তিনি বলেছেন, তাদের ভুলের কারণেই ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হয়েছে।

কয়েকদিন আগে অভিযোগ ওঠে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি প্রতিষ্ঠান ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের রাজনৈতিক গ্রাহকদের জন্য এসব তথ্য ব্যবহার করেছে। এর মাধ্যমে বিশ্বাস ভঙ্গ করারও অভিযোগ ওঠে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। তীব্র সমালোচনার মুখেও চুপ থাকার পর আজ এ নিয়ে মুখ খুললেন জাকারবার্গ।

জাকারবার্গ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বিশ্বাস ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। এর পরই সিএনএন কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি পুরো ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এ ধরনের অ্যাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। ফেসবুকে দেওয়া বিবৃতিতে জাকারবার্গ আরও বলেন, “ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে আমাদের। এই সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হলে বলতেই হবে আমাদের এই কাজ করার যোগ্যতা নেই।”

অভিযোগ উঠেছে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে অ্যাপ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল ফেসবুক। ওই অ্যাপের মাধ্যমেই কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই তথ্য পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণার জন্য কনটেন্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

এই পদ্ধতিতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহের সাথে জড়িত এক অধ্যাপক সম্প্রতি মুখ খোলায় প্রকাশ্যে এসেছে সবকিছু। এর পরই ফেসবুকের শেয়ারের দাম প্রায় ৬ শতাংশ পড়ে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago